আগামী ৮ জুলাই, গোটা রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাকে কেন্দ্র করেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে জোরকদমে প্রচার। শুক্রবার ভোরে যাদবপুর স্টেশনে নির্বাচনী প্রচার সংগঠিত করল সিপিআই(এম)।
প্রসঙ্গত, সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে বিভিন্ন রেল স্টেশনে প্রচার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মূলত, গ্রামবাংলা থেকে বহু মানুষ রোজদিন জীবিকা নির্বাহ করতে কলকাতার নানাপ্রান্তে আসেন। এইমুহূর্তে তাঁদের কাছে লাল ঝান্ডার বার্তা নিয়ে পৌছনোই মূল লক্ষ্য বামেদের। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে, সমস্ত হুমকি এবং প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে মানুষের প্রতিরোধ গড়েই তৃণমূলকে উৎখাত করার ডাক দিচ্ছেন নেতৃবৃন্দ। এমনকি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা বিজেপিকেও কোনও ভোট নয়, প্রচারে বারবার সামনে আসছে সেই কথাও।
গোটা রাজ্যজুড়ে লাগামহীন দুর্নীতি, পঞ্চায়েত সমিতিগুলোতে পাহাড়প্রমাণ টাকার নয়ছয় এবং শিক্ষা বিক্রির ভয়ঙ্কর চক্রান্তের বিরুদ্ধে মানুষকে সঙ্গে নিয়েই ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট এবং ধর্মনিরপেক্ষ সহযোগী শক্তিগুলি। জব কার্ড প্রদান, ১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিনে নিয়ে যাওয়া এবং যোগ্যতার নিরিখে শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের চাকরি সহ একাধিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে এই নির্বাচনে লড়ছে তাঁরা।
সিপিআই(এম) যাদবপুর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে, শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে যাদবপুর রেল স্টেশনে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে শামিল হন বাম কর্মী এবং সমর্থকরা। ট্রেনযাত্রী এবং পথচলতি মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্র, যুব এবং মহিলা কর্মীরা। লিফলেট দেওয়ার পাশাপাশি চলে মাইক প্রচার। অনেক মানুষ নিজে থেকে এসেও তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন। নিজেদের গ্রামে এবং অঞ্চলে, দুর্নীতি নিয়ে ভীষণভাবেই ক্ষুব্ধ প্রচুর মানুষ। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তায় সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হল, জানাচ্ছেন লাল ঝান্ডার কর্মীরা।
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উৎপল দত্ত, জেলা কমিটির সদস্য অঞ্জন চক্রবর্তী এবং যাদবপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিষ্ণু ঘটক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
Comments :0