CUEA

সংবিধান এবং শিক্ষা বাঁচানোর ডাক ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে

কলকাতা

"বিপন্ন সংবিধান, বিপন্ন শিক্ষা, এসো গড়ি প্রতিরোধ" এই ভাবনাকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলন ও প্রকাশ্য সমাবেশ। ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজরা ল' কলেজ ক্যাম্পাসে প্রয়াত বাসুদেব আচারিয়া ও ১২ জুলাই কমিটির অন্যতম প্রাক্তন যুগ্ম আহ্বায়ক সমীর ভট্টাচার্য নামাঙ্কিত নগর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত দুই কর্মচারী রবীন্দ্রনাথ মল্লিক ও ফাল্গুনী দত্ত মঞ্চে শতাধিক প্রতিনিধি ও দর্শক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন গণশক্তি পত্রিকার সম্পাদক, প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় ছাত্র নেতা ও দীর্ঘদিনের লোকসভার সদস্য কমরেড শমীক লাহিড়ী। লুঠেরা পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের উপর সুকৌশলে নামিয়ে আনা শোষণ এবং তার বিপরীতে সমাজকল্যাণ মূলক রাষ্ট্রের ভাবনা বিষয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন। দেশের সরকার যে ভাবে ধর্মকে হাতিয়ার করে এই শোষণ থেকে মানুষের চোখ ঘোরানোর চেষ্টা করছেন, পাশাপাশি সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে যে ভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে সেই বিষয়েও তিনি সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের অবহিত করেন। এর পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শিক্ষাক্ষেত্রের ওপর যেই আক্রমণ এবং তা মোকাবিলায় শিক্ষাকর্মীরা যেই ভূমিকা নিচ্ছেন তার প্রশংসা করেন শমীক লাহিড়ী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১২ জুলাই কমিটির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক সুমিত ভট্টাচার্য, অল ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন ঘোষ, ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি টিচার্স এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অধ্যাপক সনাতন চট্টোপাধ্যায় সহ ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মূল সম্মেলনে বিগত বছরের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন বিদায়ী সম্পাদক কমরেড সোমনাথ সাহা। প্রতিবেদনের উপর ১৫ টি নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে ৪ জন মহিলা সহ মোট ২০ জন প্রতিনিধি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। শেষে ৯ টি প্রস্তাবসহ প্রতিবেদন, আগামি বছরের কার্যকরী কমিটি ও অফিস বেয়ারার সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়। সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদে যথাক্রমে কমরেড সুদীপ্ত ব্যানার্জী, কমরেড সোমনাথ সাহা ও কমরেড সুকান্ত সরকার পুনঃ নির্বাচিত হন।

 

১৮ মার্চ কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাসে সম্মেলনের  প্রকাশ্য সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অধ্যাপক ও ছাত্র আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা অধ্যাপক আব্দুল কাফি। ভারতবর্ষের বহুত্ববাদী ধর্মীয় সংস্কৃতির ঐক্য ও পরম্পরাকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে আরএসএস পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার। সেই উদ্দেশ্যেই জাতীয় শিক্ষা নীতির পরিকল্পনা। এই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের সর্বসম্মত প্রতিরোধে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রকাশ্য সমাবেশে সাংস্কৃতিক উপসমিতি একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপিত করে। সমাবেশ শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো সমবায় সমিতির বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধিত করার মধ্যে দিয়ে। প্রকাশ্য সমাবেশে কর্মী জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতন। 

Comments :0

Login to leave a comment