শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন সীমান্তে পাহারা জোরদার করতে হবে। সেই মতো শুক্রবার থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বসিরহাট হাসনাবাদ হিঙ্গলগঞ্জ জুড়ে বিএসএফ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জোরকদমে নজরদারি শুরু হয়েছে। ভিন দেশ বা ভিন রাজ্য থেকে কে বা কারা আসছে কোথায় থাকছে তাদের আসার উদ্দেশ্য কী ইত্যাদি নানান বিষয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে নজর রাখা এবং গ্রামবাসীদের সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে রহস্যময় ড্রোনে আবির্ভাব। স্বাভাবিকভাবেই বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো প্রবাদ বাক্যটি ফিরে ফিরে আসছে হাসনাবাদ হিঙ্গলগঞ্জের ক্যানভাসে। ঘটনাস্থল কাটাখালি নদী এবং নদীর উপর কাটাখালি সেতু। যার উত্তরে বরুনহাট, দক্ষিণে কাটাখালি। সেতুটি হাসনাবাদ এবং হিঙ্গলগঞ্জকে জুড়েছে। কাটাখালি নদী পূবে ইছামতি নদীতে গিয়ে মিশেছে। যার কোলঘেঁষে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। এপাড়ে ইছামতি বড়াবড় টাকী, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে বাড়তি নজর দিতে হয় পুলিশ এবং বিএসএফকে। এহেন ভৌগলিক অবস্থানে দাঁড়িয়ে শুক্রবার রাতের নজরদারি নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়। এমনটাই মনে করছেন রাতের আকাশে উড়তে থাকা তিনটি রহস্যময় ড্রোনের প্রত্যক্ষদর্শীদের।
কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হয় যুদ্ধের উন্মাদনা। দেশের নিরাপত্তা জোরদার করতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যের সাথে মকড্রিল নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কী করণীয় এবং সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে শুরু হয় মকড্রিল। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন মকড্রিলের ব্যবস্থা হয়েছিল কাটাখালি বরুনহাট এলাকায়? যেখানে হাত বাড়ালেই বাংলাদেশ। স্থানীয় মানুষ জানান না তেমন কোন কিছুই (মকড্রিল)এখানে তারা দেখেননি। এদিকে ফের নতুন করে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে উদ্ভূত পরিস্থিতি। সেই প্রেক্ষাপটেই ড্রোনের আবির্ভাব। রাতের আকাশে উড়তে দেখা এবং বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে মিলিয়ে যাওয়া। ফলে বাড়তি আতঙ্ক তো বটেই। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্য করা গেলো একরাশ আতঙ্ক উদ্বেগের চাদরে মোড়া বরুনহাট কাটাখালি এলাকা।
Comments :0