Security for victim

আদালতের চাপে দিনহাটার নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে বাধ্য হলো পুলিশ

রাজ্য

পুলিশ, থানা যখন শাসক দলের নেতাদের ইঙ্গিতে ধর্ষিতার পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা আবেদনে সাড়া দেয় না, তখন ত্রাতার ভূমিকায় সেই আদালত!
হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন নির্যাতিতা ও তার পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে। সেই সঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতা ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত যে এফআইআর করেছে পরবর্তী শুনানি অব্দি দিনহাটা মহিলা থানার পুলিশ ওই এফআইআরের ভিত্তিতে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
উল্লেখ্য, দিনহাটার আটিয়াবাড়ির সেই প্রতারিত এবং নির্যাতিতার এফআইআরের জেরে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেও নির্যাতিতার ও তার মা নিজের বাড়িতেই দিনহাটা মহিলা থানার পুলিশের তদন্তের সময়ে তাদের উপস্থিতিতেই অভিযুক্তের স্ত্রী এবং ছেলে ও তাদের দলবলের হাতে প্রহৃত হয়। দিনহাটা মহিলা থানায় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে হামলাকারিরা মিথ্যে মামলা করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও "দেখে নেওয়ার" হুমকি দিচ্ছে।
বাধ্য হয়েই নিরুপায় ওই পরিবার হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের শরনাপন্ন হয়। 
কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহিলা থানায় প্রাথমিকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শাসক দলের নেতার তথা দিনহাটা ১ নং ব্লকের বড় আটিয়াবাড়ীর প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আব্দুল মান্নান ওরফে মান্নার  বিরুদ্ধে  হস্তক্ষেপ করায় আপাত খুশি ধর্ষিতা ও তাঁর বাবা-মা।
নির্যাতিতা শুক্রবার বলেন, ‘অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা হওয়ায় আমাদের কোন নিরাপত্তা দিচ্ছিল না পুলিশ। আইন আমাদের পাশে দাঁড়ানোয় স্বস্তি পাচ্ছি। কিন্তু যারা আমাদের তদন্ত করতে আসা পুলিসের সামনেই বাড়িতে ঢুকে আমাকে এবং মা কে মারধর করলো, রাতে বাড়িতে বোমা ছুঁড়লো তারা গ্রেপ্তার না হওয়া অব্দি আতঙ্কে আছি।’

Comments :0

Login to leave a comment