কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনে বড়সর সাফল্য পেল কংগ্রেস। বিজেপি হারিয়ে ক্ষমতায় দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যের ক্ষমতায় ফের ফিরতে চলছে তারা। এর আগে ২০১৮’তেও বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে কর্ণাটকে সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেসই কিন্তু পরে কংগ্রেসের বিধায়কদের টাকা দিয়ে কিনে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। ক্ষমতা দখলের পরেই হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনতির খেলায় নেমে পরে তারা। কর্ণাটক থেকেই উঠে আসে হিজাব বিতর্ক। টিপু সুলতানের জন্মদিবসে রাজ্য সরকারি ছুটিও প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি সরকার। আরএসএসের মুসলিম বিরোধী এমনকি খ্রিষ্টান বিরোধী সাম্প্রদায়িক বিষ প্রবল ভাবে ছড়িয়ে দিতে থাকে কর্ণাটকে।
কংগ্রেস অবশ্য এই সাফল্যের পেছনে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রাকেই সফল ভাবে দেখছে। বিধাবসভা নির্বাচনের আগে টানা ২২ দিন ছিলেন কংগ্রেস। শনিবারের এই ফলাফলের পর রাহুল গান্ধি বলেন ‘সাধারণ মানুষের ভালোবাসার ফল এই জয়। এবার দেশের অন্যান্য রাজ্যেও কংগ্রেসের এই ফলই হবে। আমরা কংগ্রেস প্রান্তিক মানুষের পাশে আছে।’ শেষ ফলাফল অনুযায়ী কর্ণাটকে ১৪০টি আসনে এগিয়ে আছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিধারামাইয়া এই জয়কে মানুষের জয় বলেছেন। অপরদিকে বিজেপির এই ফলাফলের সমস্ত দায় নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাও বোম্মাই।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও কর্ণাটকের এই বিপুল জয়ের জন্য সে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাদের জন্যই এই ‘ঐতিহাসিক ফলাফল’ বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরাজয় মেনে নিয়ে কংগ্রেসকে অভিভাদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
Comments :0