Gaza

গাজায় নিহত আরও ৬২, ক্ষুধার্ত শিশুর যন্ত্রণায় লন্ডনে সরব করবিন

আন্তর্জাতিক

চব্বিশ ঘন্টায় গাজায় আরও ৬২ নাগরিককে হত্যা করেছে ইজরায়েলের সেনা। কেবল গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৩৫ জন।  আরেকদিকে খাদ্যের তীব্র সঙ্কটে মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে গাজার শিশুরা। 
গাজা সিটিতে একটি গোটা পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার। ইজরায়েলের লাগাতার আক্রমণে গোটা গাজায় কোনও নাগরিক আর স্থায়ী বাসিন্দা নন। এক আশ্রয় থেকে অন্যত্র ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। থাকতে হচ্ছে মাথায় ত্রিপল প্লাস্টিক বা এখন পুরো ভেঙে পড়েনি এমন কোনও দালন বাড়িতে মাথা গুঁজে।
আর এই মানুষেরই ওপর বোমা ফেলে চলেছে ইজরায়েলের সেনা। এদিন এমনই আক্রমণে নিহত হয়েছেন ৬২ জন। ইজরায়েলের জনতার বেশিরভাগ যদিও এই যুদ্ধ আর চাইছেন না। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ইজরায়েলের বেশিরভাগ বাসিন্দাই চাইছেন একতরফা সেনা অভিযান বন্ধ করে হামাসের হাতে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
নেতানিয়াহু জনমতের দিকে পিঠি ঘুরিয়েই রয়েছেন। হামাস সংঘাত থামানোর প্রস্তাব পাঠালেও তা বিবেচনাতেই রাজি নন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের এক প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত অ্যালন পিঙ্কাস বলেছেন, জনতা নিজেদের পরাজিত, প্রত্যাখ্যাত মনে করছে। 
এদিন পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যমের একাংশ গাজার নুসেইরত আশ্রয় শিবিরে ক্ষুধার্ত শিশুদের একের পর এক ছবি প্রকাশ করেছে। খাবারের তালা নিয়ে, জলের বালতি নিয়ে দাঁড়িয়ে শিশু-কিশোররা। খাবার মিলছে না প্রাচুর্যের এই বিশ্বে।
ইজরায়লের লাগাতার আক্রমণ এবং আমেরিকার মদতে ক্ষোভ বাড়ছে দেশে দেশে। লন্ডনে সাংসদ জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে বসেছে গণ পর্যালোচনা সভা। ব্রিটেন সরকার গাজার শিশুদের বাঁচাতে কী ভূমিকা নিয়েছে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে ওই সম্মেলনে। ‘গাজা ট্রাইবুনাল’চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। লন্ডনের চার্চ হাউসে এই সভায় অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিবাদীরা।

Comments :0

Login to leave a comment