Manikchak Erosion

মানিকচকের ভাঙনে ডুবল ট্রাক্টর, বড় গাড়িও, স্মারকলিপি সিপিআই(এম)-র

জেলা

মানিকচকে দাবি ব্যাখ্যা করছেব সিপিআই(এম) নেতা দেবজ্যোতি সিন্‌হা। ভাঙন বসতির দোরগোড়ায়।

উৎপল মজুমদার

মানিকচক ব্লকের ভুতনি চর সহ মূল ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা গঙ্গা, ফুলহর ও কোশি নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত। ফলে এই ব্লকের কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকাতেও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। 
সোমবার ভোরে মথুরাপুর অঞ্চলের শঙ্করটোলা ঘাটে ফুলহর নদীর ভাঙনের ফলে ডুবে গেছে দু’টি ট্রাক্টর, দু’টি বোলেরো গাড়ি ও একাধিক বাইক। ফলে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে এইসব এলাকায়।
এ প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি বাঁধ ভেঙে দক্ষিণ চন্ডীপুর এলাকার মানুষকে সমস্যায় ফেলেছে। মাত্র এক বছর আগে নির্মিত এই বাঁধ ‘কাটমানি বাঁধ’ হিসাবে পরিচিত। এই বাঁধ নির্মাণের সময়েই দুর্নীতির অভিযোগ জানানো হয়েছিল সেচ দপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে। অন্যদিকে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা খরচে তৈরি পশ্চিম রতনপুর বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। তবে গঙ্গার জলস্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে এক হাত নিচে থাকায় এখনো বন্যার জল ঢুকতে শুরু করেনি। তবে জলস্তর বাড়লে নতুন করে এলাকা জলমগ্ন হবে।
পরিস্থিতি জানিয়ে সোমবার মানিকচক ব্লকের বিডিও-কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কপি দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কৃষি আধিকারিককে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দেবজ্যোতি সিনহা, শ্যামল বসাক, শ্রীনিবাস মন্ডল, আমিরুল হক।
দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, ‘‘যেভাবে গঙ্গা, ফুলহর ও কোশি নদী কাছাকাছি আসছে, তাতে যদি এই তিন নদী মিশে যায়, তবে শুধু মানিকচক ব্লক নয়, গোটা মালদহ জেলার মানুষের জীবনে বিভীষিকা নেমে আসবে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার দায়িত্ব পালন করছে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment