Jalpaiguri Protest

পুলিশের বাধা ভেঙে দাবিপত্র বিডিও দপ্তরে

জেলা

জলপাইগুড়ি সদর বিডিও দপ্তরে বিক্ষোভ। ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত

দীপশুভ্র সান্যাল: জলপাইগুড়ি

খেটে খাওয়া মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর ও বস্তি সংগঠনের ডাকে বিডিও দপ্তর অভিযানে মানুষের ক্ষোভ চরম সীমায় পৌঁছায়। বেলা ৩ নাগাদ মিছিল বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির গেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিডিও অফিসে পৌঁছালো। 
পুলিশ‌ ব্যারিকেড করে পথ আটকানো চেষ্টা করলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। শ্রমজীবী মানুষের কথা শুনতে চাননি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিডিও। সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ সহ প্রতিবাদীরা বিডিও দপ্তরের সামনে বসে পড়লেন। পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে দেখে বিডিও স্মারকলিপি নিতে বাধ্য হন।
জলপাইগুড়িতে বুধবার এমনই প্রতিবাদ চলল। 


তুষার ঘোষ বললেন, কৃষকরা সরকার ঘোষিত এমএসপি পাচ্ছেন না। আদালতের নির্দেশের পরেও ১০০ দিনের কাজ চালু হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। বস্তিবাসী মানুষের, চা শ্রমিকদের জমি লুট হচ্ছে। জমির নামমাত্র পাট্টা দেওয়া হলেও চৌহদ্দি নির্ধারণ করা হচ্ছে না। ন্যূনতম মজুরি চালু করছে না সরকার। তার বিরুদ্ধে সারা রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আন্দোলন চলছে। বিডিও দপ্তর এবং বিএলআরও দপ্তর সঠিকভাবে কাজ না করলে ছেড়ে দেবেন না শ্রমজীবী মানুষ।
ঘটনা হলো, সরকারি ঘোষণা সত্ত্বেও বাড়ছে না চা শ্রমিকের মজুরি। সদর ব্লকের করলাভ্যলি চা বাগানে দীর্ঘদিন ঢোকার মূল কালভার্ট ভাঙা, যে কোনো সময় বড়সড়ো দুর্ঘটনা করতে পারে। চা শ্রমিকদের একাংশ প্লাস্টিক টাঙিয়ে দিন গুজরান করলেও মেলেনি আবাসের ঘর। আলু চাষিরা দাম না পাওয়ার হিমঘর থেকে আলু বাজারে এনে বিক্রি করতে পারছেন না। অকাল বৃষ্টিতে ধান চাষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বিএলআরও দপ্তরের দালাল চক্রের যোগসাজসে লুট হচ্ছে গরিব-বস্তিবাসী, গ্রামাঞ্চলের পাট্টা পাওয়া জমি। 
কলকাতা হাইকোর্ট ১ অগাস্ট থেকে কাজ চালুর নির্দেশ দিলেও তা হয়নি। এদিন অংশ নেন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা পীযূষ্ মিশ্র সহ নেতৃবৃন্দ। 

Comments :0

Login to leave a comment