recrutment scam

দাগিদের জন্য এত দরদ কেন, ফের ভর্ৎসনা রাজ্যকে

রাজ্য

 আপনারা দাগি প্রার্থীদের আবারও বিপথে পাঠানোর চেষ্টা করছেন কেন?  অনেকের জীবন নষ্ট করেছেন। এখনও দাগি প্রার্থীদের জন্য এত দরদ কেন? বৃহস্পতিবার দাগি প্রার্থীদের আইনজীবীদের একথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার মন্তব্য করেছেন, দাগি প্রার্থীদের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে দিয়ে সওয়াল করিয়েছেন। এরপর আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে কেন দাগিদের জন্য আপনাদের এত উৎসাহ।
এদিন বিশেষভাবে সক্ষম কয়েকজন দাগি প্রার্থীকে এসএসসি’র নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেবার আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই আবেদন গ্রহণ করেনি শীর্ষ আদালত। আদালত এদিন আরও বলেছে, এসএসসি’র নিয়োগ দুর্নীতি মামলার নির্দেশ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এই নির্দেশ রেফারেন্স হিসাবে কাজ করবে। 
এদিকে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী তীব্র ভর্ৎসনা করেন এসএসসি’র আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জিকে। বিচারপতি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আপনাদের (এসএসসি) অফিসারদের চাকরি থাকে কী করে। এঁদের কেন চাকরি যায় না। এত বড় ভুল করছেন। তাও সবাই কাজ করে ছলেছেন।’’ আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জি আদালতের এই ভর্ৎসনার মুখে বলেন, লক্ষ লক্ষ প্রার্থী আবেদন নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেছেন। সেই কাজ করতে গিয়েই এই ভুল হয়েছে। 
এই সময় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, তাহলে আমরা বলি, এসএসসি’র সম্মতিতেই দাগি প্রার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবেন। আইনজীবী ব্যানার্জি বলেন, না না আমরা সেকথা বলছি না। সমস্ত দাগি প্রার্থীদের দেওয়া অ্যাডমিট কার্ড আমরা বাতিল করতে বলেছি।  উল্লেখ্য, প্রায় ৩৫০জন প্রার্থী নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের আবেদন বাতিল হওয়ার পরই তাঁরা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। গত মঙ্গলবার এই ৩৫০জনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। 
বিচারপতি ভট্টাচার্য দাগি প্রার্থীদের আবেদন খারিজ করে বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট খুব স্পষ্ট করে অনেক আগেই বলেছিল যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টও এই পৃথকীকরণের কাজ করতে বলেছিল। এসএসসি আদালতের নির্দেশের কোনও গুরুত্ব দেয়নি। ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। এই বাতিলের মধ্যে যেমন শিক্ষকরা রয়েছেন তেমন শিক্ষাকর্মীরা রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই দাগি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এখন আবার সেই দাগি প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসানোর চেষ্টা হচ্ছে। বিচারপতি গত মঙ্গলবারই এই মামলা খারিজ করে দিয়েছিলেন। সেই মামলাই বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিসন বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারিত হয়েছিল। 
এদিন বিচারপতি চক্রবর্তী এসএসসি’র আইনজীবীকে বলেন, আপনাদের অফিসারদের কাজের ফলে ভুগতে হচ্ছে বহু শিক্ষককে। এখনও আপানার অফিসাররা সেই একই ভুল করে যাচ্ছেন। এই অফিসার যাঁরা দাগি প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড পাঠিয়েছেন তাঁদের চাকরি যাবে না কেন?

মন্তব্যসমূহ :0

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন