ARMY UNIFORM RAIGANJ

পহেলগাম সন্ত্রাসের পর বাহিনীর পোশাক বিক্রি ঘিরে সতর্কতা তীব্র

জেলা

বিশ্বনাথ সিংহ: রায়গঞ্জ

পহেলগামের হামলার পর সুরক্ষা বাহিনীর পোশাক বিক্রেতারা সতর্কতা মেনে চলছেন পুরোদমে। 
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বাহিনীর এমন বিভিন্ন দোকানে ক্রেতার পরিচয়পত্র যাচাই না করে বাহিনীর পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে না। তবে পোশাক বিক্রেতাদের অভিযোগ অনলাইনে এখনও বাহিনীর পোশাক বিক্রি হচ্ছে।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পহেলগামের কাছে বৈরনের পার্কে সন্ত্রাসবাদীরা চড়া হয়েছিল সুরক্ষাবাহিনীর পোশাক গায়ে। আক্রান্তদের পরিবার এবং স্থানীয়রা এই তথ্য দেন। জঙ্গিদের গায়ে ছিল সেনার পোশাক ৷ তাঁরা জানান, সেনার পোশাক পরা থাকায় হামলার বিষয়টি বুঝতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছিল।
এরপরই সাধারণ মানুষের সেনার পোশাক পরা সংক্রান্ত নিয়ম আরও কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই নিয়ম অমান্য করা হলে জেলও হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মন্ত্রক।  
উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন দোকানে সেনাদের জন্যে বানানো পোশাক ঘিরে বির্তক চরমে ওঠে। কয়েকটি টেলারিংয়ের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে বিএসএফ এবং সিআরপিএফ-এ কর্মরত, পরিচিত এমন লোকজনকেই কেবল এই পোশাক বিক্রি করা হয়। পহেলগামের পর বিষয়টিতে আরও সতর্ক ব্যবসায়ীরা। 
সাধারণ মানুষের কাছে এ ধরনের পোশাক বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন। নিষেধাজ্ঞাও সংক্রান্ত নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে।
কেবলমাত্র পুলিশ কর্মী অথবা সেনা বাহিনীর দ্বারা অনুমোদিত  ব্যক্তিদেরই পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ক্রেতার পরিচয়পত্র ও  যাচাই করতে হচ্ছে তাঁদের। ক্রেতার সম্পূর্ণ ঠিকানা বিক্রেতাকে নথিভুক্ত রাখতে হচ্ছে। 
তবে অভিযোগ, এখনও বেশ কিছু দোকানে দেদার সেনার পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সরাসরি মিলছে না। অনলাইনে দেদার বিকোচ্ছে পুলিশ ও সেনার পোশাক। এ বিষয়ে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান ব্যবসায়ীরা। 
পোশাক বির্তকের বিষয় আজকের নয়। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময়ে দেদার বিক্রি হয়। ভোটের সময় প্রতিবার আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেই সময় বাহিনীর পোশাক বিক্রি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হয়েছিল।

Comments :0

Login to leave a comment