লক্ষ্মীপুজোর আগে আখের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে একটি আখের দাম এখন ৮ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এক বিঘা জমিতে আখ চাষের খরচ ২০-৩০ হাজার টাকা। আর সেই আঁখ বিক্রি করে কৃষকরা লাভ পাচ্ছেন বিঘা প্রতি প্রায় এক লাখ টাকা। আখের জমিতে সাথী ফসল হিসাবে অন্যান্য চাষ করেও বাড়তি লাভ পাচ্ছেন তারা। তাই খুশি পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার আখ কৃষকরা। লক্ষ্মীপুজোয় আখের বিশেষ চাহিদা থাকে, সামনেই আবার ছটপুজো ফলে বাজারে আখের চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষকরা। পূর্বস্থলী -১ ব্লকের নাদনঘাট থানার গোয়ালপাড়ায় রাজ্যের অন্যতম বড় আখের পাইকারি বাজার। এই বাজারের আখ যায় কলকাতা, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, মালদা ছাড়া বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত। পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষি প্রধান মহকুমা কালনা। ভাগীরথী, বেহুলা, খড়ি, গুড়জোয়ানী, নিলেচকা, বাঁকা, গঙ্গুর প্রভৃতি বিভিন্ন নদী বয়ে গেছে এই মহকুমার পাঁচ ব্লকের উপর দিয়ে। ফলে নদীবিধৌত উর্বর মাটিযুক্ত পাঁচ ব্লকেই প্রচুর ফসল উৎপন্ন হয় পূর্বকাল থেকেই। ধান, আলু, পাটই এখানকার প্রধান ফসল। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নে এই প্রধান ফসলগুলির উৎপাদন উদ্বৃতের স্থানে পৌঁছে যায়। ফলে দামতো কমেছেই, মাঝে মাঝে বিক্রি পর্যন্ত হয় না। অথচ সার, বীজ, কীটনাশক প্রভৃতি কৃষি উপকরণের মূল্য ক্রমবর্ধমান স্বাভাবিক কারনেই কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিতে চাষে নিয়ত লোকসান খাচ্ছিলেন কৃষকরা। এই অবস্থায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে বিগত বামফ্রট সরকার বিকল্প কৃষির স্লোগান তুলেছিল। কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল-- চিরাচরিত ফসলের চাষ কমিয়ে বিকল্প চাষ করার। বামফ্রন্টের বিকল্প কৃষি ভাবনাকে আঁকড়ে ধরেই বর্তমানে বাঁচতে চাইছে কালনা মহকুমার কৃষকরা। আখ চাষ বিকল্প চাষ হিসাবে বেছে নিয়েছেন এখানকার কৃষকরা। তাতে তারা খুবই লাভবান।
Purbasthali
জমজমাট পূর্বস্থলীর পাইকারি আখ বাজার

×
Comments :0