Kashmir Book Ban

২৫ বইয়ে নিষেধাজ্ঞা কাশ্মীরে, প্রতিবাদ পলিট ব্যুরোর

জাতীয়

সংবিধান, ফ্যাসিবাদ এবং ইতিহাস নিয়ে লেখা ২৫টি বইয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। কেন্দ্রের পাঠানো উপরাজ্যপাল যে যে বইয়ের প্রকাশনা এবং বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে সংবিধান ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞ এজি নুরানির বইও। 
জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনের এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। প্রতিবাদ জানিয়ে পলিট ব্যুরো সদস্য এবং সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, গোটা দেশে শিক্ষা এবং মুক্ত চিন্তার ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। 
কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের উপ রাজ্যপাল মনোজ সিন্‌হার পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এই বই ‘মিথ্যা ভাষ্য ছড়াচ্ছে। বলা হয়েছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দিচ্ছে’। এমনকি সন্ত্রাসবাদকে গৌরবজনক করে দেখাচ্ছে। 
সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো বলেছে যে এই নিষেধাজ্ঞা স্বৈরাচার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপ রাজ্যপাল সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে চলেছেন। 
পলিট ব্যুরো বলেছে যে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং সন্ত্রাসবাদে’ মদতের অভিযোগ তুলে যে পঁচিশটি বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তার সবই কাশ্মীরের শিকড় এবং ইতিহাসকে বিশ্লেষণ করে বর্তমান পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করেছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে অরুন্ধতী রায়, অনুরাধা ভাসিনের বইও। সিপিআই(এম) এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পাশিপাশি জম্মু ও কাশ্মীরে  গণতান্ত্রিক অধিকার সহ পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিব ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২, ১৯৬ ও ১৯৭ ধারার উল্লেখ করে নির্দেশিকা জারি করেছেন। অরুন্ধতী রায়ের ‘আজাদি: ফ্রিডম ফ্যাসিজন ফিকশন’, হাফসা কঞ্জয়ালের ‘কলোনাইজিং কাশ্মীর: স্টেট বিল্ডিং আন্ডার ইন্ডিয়ান অকুপেশন’, ভিক্টোরিয়া শফিল্ডের ‘কাশ্মীর ইন কনফ্লিক্ট’-র মতো আন্তর্জাতিক প্রকাশনাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। 
বৃহস্পতিবার কলকাতায় মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ ভবনে সেলিম বলেন, ‘‘কাশ্মীরে ক্রমাগত মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ২৫ টি বই নিষিদ্ধ হয়েছে। সেই সব বইয়ে সেখানকার ইতিহাস সংস্কৃতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা রয়েছে। লোককে বিজেপি তা জানতে দিতে চায় না।’’ তিনি বলেন, ‘‘আজ কাশ্মীরে হচ্ছে, কাল গোটা দেশে হবে। স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। আরএসএস স্বাধীনতার আন্দোলনে ছিল না। এখন মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment