উৎসব মানে সব ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষে মানুষে ঐক্যের মেলবন্ধন। মানুষে মানুষে কাছাকাছি আসা। কিন্তু বর্তমানে উৎসব নিয়েও ভাগাভাগি, বিভাজনের নোংরা রাজনীতি চলছে। বাংলার মিলনধর্মী সমাজের যে ঐতিহ্য তাকে নষ্ট করা হচ্ছে। বাংলার সেই মিলনধর্মী ঐক্য, ঐতিহ্যকে আমাদের রক্ষার শপথ নিয়েই উৎসবে শামিল হতে হবে।
বুধবার রাতে পূর্ব বেহালায় সিপিআই(এম) কর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক বস্ত্রদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে এই আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্যদ সেলিম। উৎসবে মানুষকে সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার লক্ষ্যে মানুষের থেকে গণসংগ্রহ করে এলাকার প্রান্তিক বাসিন্দাদে হাতে উৎসবে নতুন শাড়ি তুলে দিতে এই ‘বস্ত্রদান শিবির’ করে সিপিআই(এম) ১২০ ও ১২১ নম্বর ওয়ার্ড এরিয়া কমিটি।
এদিন দু'শো মহিলার হাতে নতুন শাড়ি, বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে সেলিম বলেন, এই অনুষ্ঠানকে দাতা এবং গ্রাহীতার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত নয়। পার্টি কর্মীরা তাঁদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে এবং মানুষের থেকে গণ সংগ্রহ করেই উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতেই এই আয়োজন করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে মমতা ব্যানার্জির সরকার পূজো কমিটি গুলিকে টাকা দিয়ে বাহবা কুড়াতে চাইছে।
সেলিম বলেন,টাকা ছুঁড়ে দিয়ে উৎসবকে সর্বজনীন করা যায় না। উৎসবে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির, ঐক্যের মেলবন্ধনের মধ্য দিয়েই উৎসব সর্বজনীন হয়ে ওঠে। তিনি বলেন বাংলার সমাজ আদতে পল্লী সমাজ থেকে এসেছে। পল্লী সমাজের সেই ঐতিহ্যের বহমানতা নিয়েই বাংলার সাংস্কৃতিক উত্তরণ ঘটে চলেছে। বাংলা সংস্কৃতির নিজস্ব একটি ধারা আছে সেই ঐতিহ্যকে রাজনৈতিক স্বার্থে গুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। অন্যদিকে উদারবাদের হাত ধরে সমাজে কায়েমী স্বার্থের রমরমা ঘটছে। মানুষ বড্ড বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছেন। সামাজিক এই অচলাবস্থার বিরুদ্ধেও সমানতালে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক।
উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাতে সেলিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কেষ্ট সরকার, সুদীপ সেনগুপ্ত, কৌস্তভ চ্যাটার্জী, সুব্রত দত্ত, কিশোর ঘোষ, সমিতা হরচৌধুরি, গোপাল বারিক, উৎপল চ্যাটার্জি, আশীষ মন্ডল, অরুপ মন্ডল, তীর্থঙ্কর মুখার্জি, কুমকুম চক্রবর্তী, রতন ভাদুড়ী, ডা: নিশয় মজুমদার সহ সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ।
Behala Salim Festival
মিলনধর্মী ঐতিহ্য নিয়েই শামিল হতে হবে উৎসবে, বেহালায় বস্ত্রদান শিবিরে বললেন সেলিম

×
Comments :0