Dhupguri

গ্রামের রাস্তায় ভুটান নম্বরের ডাম্পারের দাপাদাপি, ক্ষোভ স্থানীয়দের

জেলা

গ্রামের সরু রাস্তায় ভুটান নম্বরের ডাম্পারের বেআইনি ও বেপরোয়া চলাচলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন তিন যুবক। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারী ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক রুটের ছাড়পত্র দেখিয়ে এই ডাম্পারগুলি লোকাল এলাকায় অবাদে চলাচল করছে, যার কোনো বৈধ অনুমতিপত্র নেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার একটি ভুটান নম্বরের ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁশঝাড়ে ধাক্কা মারে, যার ফলে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। রাস্তার ধারে বসে থাকা তিন যুবক মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন। এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ডাম্পার আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামতির কাজও দ্রুত শুরু হয়। বিক্ষোভকারী স্থানীয়দের মূল অভিযোগ, ভুটান নম্বরের এই ডাম্পারগুলি বাংলাদেশে যাতায়াতের জন্য ছাড়পত্র দেখালেও স্থানীয় এলাকায় ব্যবসা করার কোনো অনুমতিপত্র বা রোড চালান দেখাতে পারেনি চালকেরা। বেআইনি কার্যকলাপ ধামাচাপা দিতেই সম্ভবত গ্রামের সংকীর্ণ রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। পরে আটক হওয়া ডাম্পারগুলিকে ছাড়িয়ে নিতে নরেন মল্লিক নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি দাবি করেন, ডাম্পারগুলিতে ভুটান থেকে আরবিএম (River Bed Material) লোড করে গধেয়ারকুটির কুর্সামারী এলাকায় রাস্তার কাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেখানেই আবারও বিপত্তি ঘটে। দুর্বল সেতুর উপর দিয়ে ডাম্পারগুলি নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা সেগুলিকে পুনরায় আটকে দেন। তাঁদের স্পষ্ট প্রশ্ন— ভুটান নম্বরের গাড়িতে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের ছাড়পত্র থাকলেও লোকাল এলাকায় ব্যবসা করার অনুমতিপত্র নেই কেন? উল্লেখ্য, এর আগেও ধূপগুড়ি থানার পুলিশ নরেন মল্লিকের ভাড়া করা একাধিক ভুটান নম্বরের ডাম্পার আটক করেছিল। তারপরেও এই বেআইনি দাপাদাপি বন্ধ হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। এদিনের ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গ্রামের সরু রাস্তায় এখনও নির্বিঘ্নে চলছে এই বেআইনি কারবার, যা যেকোনো মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন মাগুরমারী ২ নং অঞ্চলের বাসিন্দারা।

Comments :0

Login to leave a comment