water logging howrah

জমা জলে বিপর্যস্ত হাওড়ার বাসিন্দারা, জলমগ্ন গোটা শহর

জেলা

বৃষ্টির জমা জলে জলমগ্ন হাওড়া কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ডের মহিনাথ পোড়েল লেন।

কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়া শহরের বহু এলাকা। উত্তর থেকে দক্ষিন কোথাও হাঁটু সমান, আবার কোথাও কোমর সমান জল জমে যায়। রাস্তায় জল জমার পাশাপাশি বাসিন্দাদের বাড়িতেও জল ঢুকে যায়। রাস্তার জমা জল কারখানার ভিতরে ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বহু কারখানা। কার্যত ঘরবন্দী হয়ে পড়েন বহু মানুষ।

জমা জলে বিপর্যস্ত উত্তর হাওড়ার বাসিন্দারা। উত্তর হাওড়ার ৬ নং ওয়ার্ডের বেশিরভাগ রাস্তাই জলের তলায়। জমা জল ঢুকে গেছে বাসিন্দাদের বসবাসের ঘরে। সোমবার মহিনাথ পোড়েল লেনের একজন অসুস্থ পড়ে পড়লেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য কোনও গাড়ি পাওয়া যায়নি। রাস্তায় কোমর সমান জল জমে থাকায় কোন গাড়ি অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য বাড়িতে না আসায় ওই অসুস্থ ব্যক্তিকে স্টেচারে করে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান বাসিন্দারা। ৬ নং ওয়ার্ডের ধর্মতলা রোড, কৈবর্ত পাড়া লেন, উত্তম ঘোষ লেন, কামিনী স্কুল লেন, ঘোষ পাড়া, অক্ষয় চ্যাটার্জী লেন, মহিনাথ পোড়েল লেন, বেনারস রোড।জলের তলায়। কোথাও হাঁটু সমান আবার কোথাও মানুষের কোমর সমান জল জমে রয়েছে। চরম অসুবিধায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় জল জমে থাকায় স্কুল, কলেজ যাওয়া প্রায় বন্ধ হতে বসেছে ছাত্র ছাত্রীদের। কাজের প্রয়োজনে জমা জলের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষদের। বেশিরভাগ দোকান ও ছোট ছোট কারখানার ভিতরে জল জমে যাওয়ায় বন্ধ হয়েছে দোকান ও কারখানা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ৬ নং ওয়ার্ডের নিকাশীর জমা জল গিয়ে পাশের রাণী ঝিলে। বর্তমানে নিকাশী নালার সংস্কার না হওয়া, প্রতিদিন নিকাশী লানা থেকে ময়লা তোলা না হবার ফলে নিকাশী নালায় পলি জমে তার জল ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে। সেই জমা জল দীর্ঘদিন থাকার ফলে জমা জল দূষিত হয়ে পড়ছে। দূষিত জমা জল থেকে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন জল জমে থাকায় এলাকায় বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ বারেবারে হাওড়া কর্পোরেশনের আধিকারিক সহ স্থানীয় শাসক দলের নেতাদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি ছাড়া শাসক দলের নেতাদের থেকে কোনও কিছু পাওয়া যায়নি। কবে জমা জলের হাত থেকে রেহাই মিলবে এই প্রশ্নই দেখা দিয়েছে হাওড়া বাসীর মনে। 

Comments :0

Login to leave a comment