বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে হারিয়ে ১৩৫ রান করে পাকিস্তান।
প্রথম দশটি বলের মধ্যে তারা দু’ উইকেট হারায়। ১০.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৪৯ রান তুলেছিল তারা। ফকর জামান (১৩), অধিনায়ক সলমন আগা (১৯), হুসাইন তালাত (৩), সাইম আয়ুব (০) ও সাহিবজাদা ফারহান (৪) ফিরে যান দলের রান পঞ্চাশের কোঠায় যাওয়ার আগে। তাসকিন আমেদ, মুস্তাফিজুর রহিম, রিশাদ হোসেন, মেহেদি হাসানের সামনে পাক দলের টপ অর্ডার বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হয়।
শাহিন আফ্রিদিকে সাত নম্বরে তুলে আনে পাকিস্তান। তিনি ১৩ বলে ২টি ছয় সহ ১৯ করেন। মহম্মদ হ্যারিস ও মহম্মদ নওয়াজ দলকে তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে যান। হ্যারিস ২৩ বলে ৩১ রান করে ফেলে যান। নওয়াজের সংগ্রহ ১৫ বলে ২৫। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৮ উইকেটে ১৩৫ তোলে।
বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। পারভেজ হোসেন ইমন (০) ফিরে যান নওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে। সইফ হাসান (১৮)। যদিও তৌহিদ হৃদয়কে (৫) ফিরিয়ে দিতে বেশি সময় নেননি আফ্রিদি। সইফও এরপর ফিরে যান হ্যারিস রউফের বলে। মেহেদি হাসানও (১১) ফিরে যান দলের রান ৫০ এর ঘরে পৌঁছানোর আগেই। ৬৩ রানে অর্ধেক বাংলাদেশ দল প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। শামিম হোসেনকে (৩০) ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ফাইনালের দিকে একধাপ এগিয়ে দিয়েছিলেন আফ্রিদি। বাংলাদেশ তখন ৯৭/৭। এরপর তানজিম হাসান ও তাসিকন আমেদকে একই ওভারে ফিরিয়ে দেন হ্যারিস রউফ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৩ রান। হ্যারিস রউফের প্রথম চার বলে ১১ রান ওঠে। যদিও শেষ দু’বলে এক রানের বেশি তুলতে পারেননি মুস্তাফিজুর (অপরাজিত ৬) ও রিশাদ (অপরাজিত ১৬)। পাকিস্তানের আফ্রিদি ১৭ রানে ৩ উইকেটে। রউফ ৩৩ রানে ৩ উইকেট পান। দু’ উইকেট নেন সায়িম আয়ুব। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। ৪১ বছরের ইতিহাসের প্রথমবার ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। আগামী রবিবার দুবাইয়ে এই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
Comments :0