রাশিয়ার থেকে আমদানির জন্য বসেছে জরিমানা। স্বৈরশাসকের বেপরোয়া মনোভাবে ভারতের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চালু করলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাস্তবে পরিস্থিতি যা, তাতে চীনের চেয়ে ২০ শতাংশ এবং পাকিস্তানের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি আমদানি শুল্ক ভারতের পণ্যের ওপর চাপিয়েছে আমেরিকা।
ট্রাম্পের ধারাবাহিক শাসানির পরও ভারত নিস্তেজ কেন, মোদী সরকারকে এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে দেশেই। সেই অবস্থায় বিবৃতি দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
মন্ত্রক বলেছে, ‘‘রাশিয়ার থেকে তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওপর।’’ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘এই সিদ্ধান্ত একেবারেই অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অন্যায়। দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য যা প্রয়োজন ভারত করবে।’’
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে অভিমান ভরা থাকলেও পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও কথাই নেই। অথচ, কানাডা থেকে মেক্সিকো, চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ট্রাম্পের শুল্ক শাসানির পালটা আমেরিকার পণ্য তাদের দেশে আমদানির ওপর কর বসিয়েছিল। ফলে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হচ্ছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি।
ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। কিন্তু ভারত সেই সিদ্ধান্তের অংশীদার নয়। বরং আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কম দামে রাশিয়ার তেল আমদানি করা হয়েছে। সম্প্রতি যদিও সে আমদানি কমেছে। বামপন্থীদের সঙ্গে দেশের বিশাল অংশ প্রশ্ন তুলেছে কিভাবে সার্বভৌম ভারতের ওপর নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে আমেরিকা।
Tariff USA
৫০ শতাংশ শুল্ক চালু আমেরিকার, মোদী ব্যস্ত কাকুতিতে

×
Comments :0