উৎসবে অনুভবে
ভাতৃদ্বিতীয়া
নানান নামে ভাইফোঁটা
-----------------------------
তপন কুমার বৈরাগ্য
-----------------------------
নতুনপাতা
২১ অক্টোবর ২০২৫, বর্ষ ৩
কার্তিকমাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয় ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। ভাইয়ের উন্নতি,সমৃদ্ধি ,দীর্ঘজীবনের জন্য এই উৎসব পালিত হয়। এই উৎসব ভাইবোনের
মধুর সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।তাইতো বোন ভাইয়ের কপালেতিলক এঁকে দিয়ে বলে ওঠে---
ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা
যমের দূয়ারে পরলো কাঁটা।
ষোড়োশোপচারে,ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে,ধান দূর্বা কাঁসার থালায় রেখে,নানান মিষ্টি সাজিয়ে এই উৎসব পালন করা হয়।নকসীকাঁথার আসনে ভাই বসে থাকে।বোন তাঁর কপালে
এঁকে দেয় তিলক ।এটা একটা মাঙ্গলিক উৎসব। ভাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা ভারতের এক একটা রাজ্যে এক এক নামে প্রচলিত।পশ্চিম ভারতে এই উৎসবকে বলে
ভাইদুজ।মহারাষ্ট্র,কর্ণাটক, গোয়াতে ইহা ভাইবিজ নামে প্রচলিত।দারজিলিং এর পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব ভাইটিকা নামে পরিচিত। ভাইদুজ নামের কারণ ভাইয়ের সাথে দুজ
যুক্ত হয়েছে। দুজ কথার অর্থ অমাবস্যার দুদিন পর। অর্থাৎ বাঙালিরা যেদিন এই উৎসব পালন করে। বোন ভাইয়ের কপালে তিলক লাগায়।ভাইয়ের মঙ্গল
কামনা করে।মহারাষ্ট্র,কর্ণাটক,গোয়াতে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ভাইবিজ নামে পরিচিত।এদিন বোন মেঝেতে বসে ভাইকে কারিয় নামক একটা ফল খেতে দেয়।ফলটা খুব তেঁতো।
ফলটা খাওয়া হয়ে গেলে বোন তাঁর কপালে তিলক এঁকে দেয়। ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে। দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে যে ভাইটিকা উংসব হয় তাতে বোন ভাইয়ের কপালে
জয়ের টিকা এঁকে দেয়। যে নামেই যেখানে পালিত হোক না কেন। প্রত্যেকের লক্ষ্য এক ,ভাইয়ের দীর্ঘজীবন ও উন্নতি।
Comments :0