Mob Lynching Adityanath

বাংলাদেশে পিটিয়ে হত্যায় বিধানসভায় ভাষণ আদিত্যনাথের, সেলিমের খেদ দ্বিচারিতায়

জাতীয় রাজ্য

বিজেপি এবং আরএসএস’র নজরে বাংলাদেশ। কেবল এরাজ্যে নয়, সারা দেশেই। 
বুধবার লক্ষ্ণৌয়ে বিধানসভা অধিবেশনে বাংলাদেশে শ্রমিককে দল বেঁধে হত্যার প্রসঙ্গ তুললেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। 
সঙ্ঘ পরিবারের ছক মতো আদিত্যনাথ ময়মনসিংহের বস্ত্র শ্রমিক দীপু দাস হত্যার ঘটনাকে ধর্মের রঙে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আপনারা কেবল গাজা স্ট্রিপ নিয়ে হৈ-চৈ করেন। বাংলাদেশে একজন দলিত যুবকে হত্যা করা হলো। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হলো। তা নিয়ে কোনও কথা বলছেন না।’’
আদিত্যনাথ মুসলিম তোষণের অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘‘এইবেলায় আপনারা কথা বলেন না, জিব আটকে যায়, কারণ আপনারা ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি করেন।’’ 
এদিনই কলকাতায় মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে সঙ্ঘ পরিবারের বিভাজনের রাজনীতির চরম সমালোচনা করেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।
পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, ‘‘বিজেপি-আরএসএস দলবেঁধে পিটিয়ে হত্যার বিরোধিতা করে না। বামপন্থীরা সর্বদা প্রতিবাদ করেছে। বেছে বেছে , ধর্ম দেখে অপরাধের প্রতিবাদ হয় না।’’  
তিনি বলেছেন, ‘‘আসামে, বাংলাদেশে, কেরালায় প্রান্তিক অংশ দলবেঁধে পিটিয়ে হত্যার শিকার হচ্ছে। বিজেপি-কে বলতে হবে পিটিয়ে হত্যার পক্ষে না বিপক্ষে? আমরা বারবার তার বিরুদ্ধে সরব থেকেছি।’’ সেলিমের সংযোজন, ‘‘যেখানেই ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানো হয়, হিংসার পরিবেশ তৈরি করা হয়, দীপু দাসের মতো মানুষ তার শিকার হন।’’ 
রাজ্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন যে এসআইআর ঘিরে সঙ্ঘের ‘রোহিঙ্গা’ মিথ্যাচার ফাঁস হয়ে যেতেই নজর ঘোরাতে বাংলাদেশে ভরসা করছেন বিজেপি নেতারা।
তিনি বলেছেন, ‘‘কেরালায় ছত্তিশগড়ের লোক আক্রান্ত হলো। কেরালা সরকার কড়া পদক্ষেপ নিল। প্রশাসনকে এই ভূমিকা নিতে হবে।’’
দলবেঁধে পিটিয়ে হত্যা বা ‘মব লিঞ্চিং’ ঘিরেই পূর্ণ দ্বিচারিতার রাস্তা নিয়ে বিজেপি। যার কেন্দ্রে রয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। 
২০১৫’র দাদরিতে মহম্মদ আখলাককে বাড়ি ঘিরে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দোষীদের ছাড় দিতে নেমেছে খোদ প্রশাসন। হত্যার অভিযোগ থেকে অভিযুক্তদের ছাড় দিতে সওয়াল করেছে আদালতে। এর আগে রাজ্যপালকে চিঠিও লিখেছে যোগী প্রশাসন। 
গত মঙ্গলবার যদিও গ্রেটার নয়ডার আদালত যোগী সরকারের সেই তৎপরতা নাকচ করেছে। সিপিআই(এম) নেত্রী বৃন্দা কারাত সেই লড়াইয়ে সঙ্গী থেকেছেন বরাবর। তিনি আদালতের এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে চালাতে হবে দেশ। হিন্দুত্ববাদীদের মর্জি চলবে না।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আদিত্যনাথের এই ভাষণ প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
 

Comments :0

Login to leave a comment