১৭ বছর ধরে তদন্ত করে মালেগাঁও বিষ্ফোরণ কান্ডে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর সহ বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলো না এনআইএ।
এনআইএ বিশেষ আদালতের বিচারক বলেন, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যেই বাইকে বিষ্ফোরণ হয়েছে সেটা প্রজ্ঞা সিংয়ের তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া বিষ্ফোরক যে ওই গাড়িতে ছিল তারও কোন উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
তদন্তে এনআইএ’র সাথে ছিল মহারাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS)। এটিএস ২০০৮ সালের অক্টোবরে জানায় বিস্ফোরণে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি প্রজ্ঞা ঠাকুরের। দাবি করে যে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের এটি দিয়েছিলেন। তারা অভিযোগ করে যে প্রাক্তন সামরিক কর্মী এবং অভিনব ভারত নামক একটি মৌলবাদী গোষ্ঠীর সদস্য এই ঘটনার সাথে যুক্ত।
আজ রায় ঘোষণা করে আদালত বলেছে যে, তদন্তকারিরা মোটরসাইকেলে বোমা লাগানো ছিল তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আদালত বলেছে যে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আরেডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ থাকলেও, লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিতের বাসভবনে তা মজুত ছিল এমন কোনও প্রমাণ নেই। তিনি বোমাটি তৈরি করেছিলেন এমন কোনও প্রমাণও নেই।
এদিন সাত অভিযুক্তই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা ঠাকুর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন যে মামলাটি তার পুরো জীবন নষ্ট করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলেছি যে যাদের তদন্তের জন্য ডাকা হয়েছে, তাদের পিছনে একটি ভিত্তি থাকা উচিত। তারা আমাকে তদন্তের জন্য ডাকে এবং গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে। এটি আমার পুরো জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমি একজন ঋষির জীবনযাপন করছিলাম, কিন্তু আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আমি বেঁচে আছি কারণ আমি একজন সন্ন্যাসীর।’
২০১১ সালের এপ্রিলে, ইউপিএ-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তটি এনআইএ-র কাছে হস্তান্তর করে। পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় সংস্থাটি ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন (এমসিওসিএ) অভিযোগ বাতিল করে দেয় কিন্তু বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং আইপিসি অভিযোগ বহাল থাকে।
এনআইএ-র অভিযোগপত্রে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে খালাস দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু বিশেষ এনআইএ আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে। পর্যবেক্ষণ করে যে তার বিরুদ্ধে বিচার এগিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়।
তদন্তকারিরা ৩২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে।
Comments :0