Bison

বাইসনের তাণ্ডব মাথাভাঙায়, ভুট্টা ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি

জেলা

ফের শনিবার মাথাভাঙা ২নং ব্লকে ভুট্টা খেতে দাপিয়ে বেড়ালো জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা এক বাইসন। দিনের শেষে বাইসনটিকে বন দপ্তরের লোকজনেরা জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও ভুট্টা খেতের ক্ষতি হয়েছে প্রচুর পরিমানে।
বারবার জঙ্গল থেকে এভাবে বাইসন ও হাতি বেড়িয়ে আসায় শুখা মরসুমে জঙ্গলে খারারের টানকেই দায়ী করছেন লোকালয়ের বাসিন্দারা। বন দপ্তরের আধিকারিকদের মতে জঙ্গলে বাইসন ও হাতির সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। অথচ তৃণভোজীদের জন্য খাদ্য ভান্ডার বাড়ে নি এতটুকুও। সঙ্গে রয়েছে জলের সঙ্কট। এছাড়াড়াও জঙ্গল ক্রমশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে। মানুষজন ঢুকে পড়ছে জঙ্গলে। আর এসব কারণেই কোচবিহার সহ ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে প্রায়ই বেড়িয়ে আসছে বাইসন আর হাতির দল।
কিছুদিন আগেও মাথাভাঙা-২ ব্লকে তিন বাইসন দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বাইসনের গুঁতোয় প্রাণ গেছে এক কৃষকের। আবার চালসার রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় বাইসনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রেলে ও গাড়ির ধাক্কায় অহরহ প্রাণ যাচ্ছে হাতিরও। পরিবেশ প্রেমী দিবাকর সরকারের অভিমত,শুখা মরশুমে জঙ্গলে ঘাস মরে যাচ্ছে। জন্মাচ্ছে গুল্মজাতীয় লতানো উদ্ভিদ। জলাশয় গুলি শুকিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য আর জলের সঙ্কটেই ওরা বারবার লোকালয়ে চলে আসছে।
বনাঞ্চল থেকে কোচবিহারের দূরত্ব নেহাত কম নয়। তবুও তোর্ষা নদী পেরিয়ে বাইসন হাতির দল জিরানপুর, টাপুরহাটে এসেছে বাইসনেরা। বন দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য হাতি, বাইসন রাতের বেলায় খুব সহজেই কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। বনাঞ্চল সংকুচিত হওয়া ঠেকাতে হবে। পাশাপাশি খাবার ও জলের ব্যবস্থা করতে হবে।
মূলত, জলদাপাড়া, বক্সা, চিলাপাতা, গরুমারা থেকে বাইসনেরা লোকালয়ে চলে আসে। উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে বাইসম গণনা হয় নি। তবে উত্তরোত্তর বাড়ছে বাইসনের সংখ্যা। অভিমত বন দপ্তরের। একটি বাইসনের দিনে অন্তত ১০ কিলো তৃণজাতীয় খাবার দরকার। গত এক বছরে অন্তত ৫০টি বাইসন বিভিন্ন সময়ে লোকালয়ে চলে এসেছে। যা অতীতে দেখা যায় নি। 
বন দপ্তরের কোচবিহার জেলা ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের জঙ্গলগুলিতে তৃণভোজীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শীতের মরসুমে জঙ্গলের ঘাস শুকিয়ে যায়, অভাব দেখা দেয় জলেরও। শীতের শুরু থেকে মার্চ অব্দি বাইসনের লোকালয়ে চলে আসার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment