Cyclonic storm

বাংলাদেশ-বার্মা উপকূলেই আছড়ে পড়বে মোগা,
রাজ্যে ৩ দিন তাপপ্রবাহ

রাজ্য কলকাতা

Mocha cyclone india bangladesh bengali news

ক্রমাগত শক্তি বাড়িয়ে বুধবার রাতেই তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোগা। রবিবার সকালে বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে বার্মার কাকপিউর মধ্যে ভূভাগে প্রবেশ করবে। ভূখণ্ডে প্রবেশের সময় মোগা’র সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। 

বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় আবহাওয়া অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে রাজ্যে তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


এদিন পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা জানান, মঙ্গলবারের গভীর নিম্নচাপ আরেকটু শক্তি সঞ্চয় করে বর্তমানে অতিগভীর নিম্নচাপ হয়ে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এদিন দুপুরে সেটির অবস্থান ছিলো আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫৪০ কিলোমিটার পশ্চিম, দক্ষিণ পশ্চিমে। 

বুধবার রাতের মধ্যে অতিগভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ওই দিন মধ্যরাতেই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। 


প্রাথমিক ভাবে ঘূর্ণিঝড়টি মোগা উত্তর-পশ্চিম দিকে এগতে থাকবে। তারপর সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে থাকবে। আগামী ১৩ মে, শনিবার ঘূর্ণিঝড়টির সামান্য শক্তিক্ষয় হবে। পরদিন ১৪ মে, রবিবার বেলা ১২টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ বা বার্মা উপকূল দিয়ে মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও বার্মার কাকপিউর মধ্যে ঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। 

ভূভাগে প্রবেশের সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। যা সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার স্পর্শ করতে পারে।


ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ এযাত্রায় বাঁচলেও চলতি তাপপ্রবাহ থেকে এখনই মুক্তি মিলছে না। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা বাদ দিয়ে রাজ্যের বাকি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে।

শুক্রবার শুধুমাত্র বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি থাকছে। বুধবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো বাঁকুড়ায়। এদিন বেলা আড়াইটে’র সময় বাঁকুড়ার তাপমাত্রা পৌঁছে গেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।


 

Comments :0

Login to leave a comment