KOLKATA ELECTRICITY CRISIS

তীব্র গরমের মধ্যেই বিদ্যুৎ ঘাটতি কলকাতায়

কলকাতা

kolkata electricity crisis bengali news

সারা রাজ্যের মতো তাপপ্রবাহের কবলে শহর কলকাতা। গরমের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়িয়েছে বিদ্যুতের সঙ্কট। যদিও কলকাতা শহরের মূল বিদ্যুৎ সরবরহাকারী সংস্থা সিইএসসি’র দাবি, গরমের সময় হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া বিদ্যুতের চাহিদার ফলেই তৈরি হচ্ছে সাময়িক ঘাটতি। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই তার মোকাবিলা করা হচ্ছে। 

সিইএসসি সূত্রে খবর, প্রতিদিন রেকর্ড হারে কলকাতা শহরে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের সোমবার কলকাতা শহরের বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২৩৬৬ মেগাওয়াট, যা সিইএসএসি’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মঙ্গলবারেই সেই রেকর্ড ভেঙে যায়। সেদিন শহর কলকাতার বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে হয় ২৫০৩ মেগাওয়াট। স্বস্তির বিষয়, এখনও এই রেকর্ড অক্ষত রয়েছে। 

স্বাভাবিক ভাবেই লাগামছাড়া হারে বেড়ে চলা বিদ্যুতের চাহিদার যোগান বেশ কিছু জায়গায় দিয়ে উঠতে পারছে না সিইএসসি। সংস্থার আধিকারিক এবং কর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপপ্রবাহের সঙ্গে বাড়ছে এসি এবং এয়ার কুলার কেনার হিড়িক। একটি বিদ্যুৎ সংযোগ কতটা ‘লোড’ নিতে পারে, তার হিসেব বিদ্যুতের বিলের পিছনের দেওয়া থাকে। কিন্তু গরমের হাত থেকে বাঁচতে বহু ক্ষেত্রেই সেই হিসেবের তোয়াক্কা না করেই এসি কিংবা এয়ার কুলারের সংযোগ নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারফলে হিসেবের বাইরে ‘লোড’ পড়ছে সংযোগে। 

সিইএসসি’র কর্মচারীরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু জায়গায় চাহিদা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে পরিস্থিতি সামলাতে একটির বদলে ২টি ট্রান্সফর্মার লাগাতে হবে। কিন্তু মরশুমি চাহিদা সামলাতে সেটা করাও সম্ভব নয়। তারফলে ‘লোড শেডিং’ হচ্ছে।

সিইএসসি’র পাশাপাশি কলকাতা শহরের একটা অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ বা ডাব্লিউবিএসইডিসিএল। সেই অঞ্চলগুলি, যেমন গড়িয়া ব্রহ্মপুর থেকেও বিদ্যুৎ সঙ্কটের খবর মিলছে।

সিইএসসি এলাকার মধ্যে বিদ্যুৎ সঙ্কট সবথেকে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে মধ্য কলকাতা এবং লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে। এই অঞ্চলের একটা বড় অংশের মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বি। তাঁরা রোজা রাখছেন। রাত পোহালেই ঈদ। স্বাভাবিক ভাবেই উৎসবের মরশুমে রাত জাগছেন তাঁরা। উৎসবের সঙ্গে সাদুর্য রেখে বেড়েছে বিদ্যতের চাহিদাও। এসির পাশাপাশি এই বর্ধিত চাহিদা কুলোতেও হিমশিম অবস্থা সিইএসসি’র। 

তারফলে পার্ক সার্কাস, বন্ডেল গেট, রাইফেল রেঞ্জ রোড সহ বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে নিয়মিত লোডশেডিং-এর খবর আসছে। বেশ কিছু জায়গায় দীর্ঘ ১০-১২ ঘন্টাও বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে ক্ষোভের পারদ। 

Comments :0

Login to leave a comment