রাস্তার দুধারে দিয়ে গ্লাস, বোতল, প্যাকেট ছড়িয়ে রয়েছে। দূর থেকে দেখলে আলো ঝলমলে কিছু মনে হলেও, সামনে গেলে বোঝা যায় তা প্লাস্টিকের বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।
জল্পেশ মন্দিরে দর্শনার্থীদের প্লাস্টিকের গ্লাসে জল দেওয়া হচ্ছে। তৃষ্ণার্ত দর্শনার্থীরা জল খেলেও গ্লাস ফেলার জায়গা নেই। ফলে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে প্লাস্টিকের গ্লাস। জমছে আবর্জনা।
জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর মোড় থেকে তিস্তা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তায় ধারে গড়াগড়ি খাচ্ছে মদের বোতলও। বেশ কিছু প্লাস্টিক গিয়ে পড়ছে তিস্তায়। প্রতি বছর জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের জল্পেশ মন্দিরে শ্রাবণী মেলায় ভিড় জমান বহু দর্শনার্থী। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন রাজ্য, এমনকি প্রতিবেশী দেশ নেপাল বা ভুটানের মানুষও আসেন।
মৎস্যজীবী সঞ্জয় রায়ের অভিজ্ঞতা হলো তিস্তায় মাছ ধরতে গিয়ে প্রায়শই দেখা যাচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগ, থার্মোকলের থালা-বাটি সহ নানা আবর্জনা ভেসে উঠতে। এলাকাবাসী বাবাই মন্ডল বলেন, ‘‘যাঁরা এখানে দর্শনার্থীদের জন্য ভাণ্ডারা বসাচ্ছেন, জল খাওয়াচ্ছেন তাঁরা কোনও ডাস্টবিন রাখছেন না ক্যাম্পে। এলাকায় মানুষের বাড়ি আছে। পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।’’
পরিবেশপ্রেমী রাজা রাউত বলেন, ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। এখনও মানুষ দূষণের বিষয়ে উদাসীন।’’
জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকারও জানান, প্রশাসনের নজরে এসেছে বিষয়টি। যথা সম্ভব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গরুমারা জঙ্গলের পাশেই এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের যুব আধিকারিক অর্ণব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শ্রাবণী মেলায় আগতদের জন্য রান্না-বান্না, খাবারের উচ্ছিষ্ট, কাগজের প্লেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখি। এমন পরিবেশ থেকে বন্য প্রাণ সহ সমগ্র জীব বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই কারণেই আমরা পড়ে থাকা আবর্জনা, খাবারের উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে একত্রিত করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি।’’
Jalpesh Mela Pollution
জল্পেশ মন্দিরে মেলার জেরে জমছে প্লাস্টিক বর্জ্য, উদ্বেগ পরিবেশের

×
Comments :0