ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির এলাকায় যাননি। ত্রাণ বিলি করেছেন সেই এলাকায় যেখানে বন্যায় ক্ষতি তেমন হয়নি। শোনেননি দুর্গতদের কথাও।
বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি ব্লকের কুর্শামারি গ্রামে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সফরকে ঘিরে এই অভিযোগেই শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যা হয়েছে ৫ অক্টোবর। অথচ এতদিন পর এসেও যেখানে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই এলাকা পরিদর্শনে যাননি তিনি। উল্টে যেখানে তেমন ক্ষতি হয়নি, সেখানেই ত্রাণ বিলি করে ফিরে যান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা ত্রাণ নিতে আসেননি। বরং নিজেদের সমস্যার কথা সরাসরি জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী সংক্ষিপ্ত সময় থেকে তাঁদের কথা না শুনেই স্থান ত্যাগ করেন। যাওয়ার পথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখার অনুরোধ জানানো হলেও, গাড়ি থামাননি তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন বহু মহিলা ও সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী ত্রাণ বিলি করতে নয়, রাজনৈতিক সভা করতেই এসেছিলেন।
এক মহিলা বলেন, “আমাদের কষ্টের কথা না শুনে সভা করে চলে গেলেন। আমরা ত্রাণ নয়, সমাধান চাই।”
উল্লেখ্য, ধূপগুড়ি ব্লকের একাধিক গ্রাম ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু পরিবার এখনও অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে দিন কাটাচ্ছে। শুভেন্দুর সফর ঘিরে এলাকায় প্রবল প্রত্যাশা থাকলেও, তাঁর সংক্ষিপ্ত উপস্থিতির পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দুর্গত গ্রামবাসীরা।
ঘটনা নিয়ে সিপিআই(এম) নেতা নিরঞ্জন রায় বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী ত্রাণ দিতে আসেননি, জনসভা করতে এসেছিলেন। সাধারণ মানুষ ত্রাণ ফিরিয়ে দিয়ে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। ওঁরা নাটক চান না, প্রকৃত সাহায্য চায়।”
চলতি বন্যায় ধূপগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের বিপর্যয় এখনো কাটেনি, অথচ রাজনৈতিক নেতাদের ‘দেখানো সফর’ নিয়ে ক্ষোভ আরও বাড়ছে দুর্গত গ্রামগুলিতে।
Shuvendu Dhupguri
শুভেন্দুর সফর ঘিরে ধূপগুড়িতে তীব্র বিক্ষোভ, ত্রাণ ফেরালেন দুর্গতরা

×
Comments :0