AIDWA MURSHIDABAD

সাগরদীঘিতে বিশাল মহিলা সমাবেশে একজোটে লড়াইয়ের ডাক

জেলা

সাগরদিঘিতে মহিলা সমিতির সম্মেলনে প্রকাশ্য সমাবেশ।

অনির্বান দে

সব মহিলাকে ঐক্যবদ্ধ করে লড়াই হবে তৃণমূল আর বিজেপির বিরুদ্ধে। এসআইআর’এর নামে বিভাজন হলে। ভয় দেখানো হলে। রাস্তায় থেকেই তার মোকাবিলা করবেন মহিলারা। এই আহ্বান জানিয়ে শনিবার সাগরদিঘি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিজয় সরস্বতী ক্লাবের মাঠে প্রকাশ্য সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হয় সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির মুর্শিদাবাদ জেলা সম্মেলন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ, সভাপতি জাহানারা খান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক শেখ হাসিনা, সভাপতি পুর্ণিমা দাস। এদিন সাগরদিঘির বোখারায় শুরু হয়েছে সম্মেলন। সম্মেলন চলবে রবিবার পর্যন্ত।


সাগরদিঘিতে প্রকাশ্য সমাবেশে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ বলেন, "মহিলা সমিতি রাজ্যজুড়ে শাসকের চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে। নারী নির্যাতন হলে ছুটে যাচ্ছে। প্রতিবাদ গড়ে তুলছে। আর তৃণমূল ধর্ষকদের মদত দিচ্ছে। তৃণমূল আর বিজেপি এসআইআর’কে সামনে এনে মানুষের মধ্যে বিভাজন করছে। সব থেকে আগে বামপন্থীরাই স্বচ্ছ, নির্ভুল ভোটার তালিকার দাবি জানিয়েছে। ভোটার তালিকা তৈরি করবে নির্বাচন কমিশন। এটা তাঁদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।"

কনীনিকা ঘোষ আরও বলেন, "বামপন্থীরা সাম্প্রদায়িকতা, আরএসএস’র বিরুদ্ধে লড়ছে। মনুবাদের বিরুদ্ধে, হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি। মেয়েদের নিরাপত্তার দাবিতে, ধর্ষণ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই রাজ্যজুড়ে তীব্রতর হচ্ছে। ভোটার তালিকাকে স্বচ্ছত্রুটি মুক্তি না করলে সেই লড়াইও তীব্রতর হবে।"

এদিন মহিলা সমাবেশে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সভাপতি জাহানারা খান বলেন, "নারীদের নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে হবে। তৃণমূল বিজেপির নেতারা প্রতারক। তাঁদেরকে আর একটাও ভোট নয়। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা বিজেপির সরকার আর ২০১১ সালে রাজ্যে আসা তৃণমূলের সরকারের লক্ষ্য এক। এই দুই সরকারের নীতিও এক। দুই সরকারের যাঁতাকলে সব থেকে বেশি নির্যাতিত হচ্ছেন মহিলারা।"
তিনি বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও'র কথা বলেও হাথরাস, উন্নাওয়ের ঘটনা দেখা গেছে। বিলকিস বানোর উপর নির্যাতনকারীদের পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার গান্ধীর খুনী আরএসএস চালায়। এদের ইচ্ছে দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র করা। তাই সিলেবাস বদলে দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসকে অস্বীকার করছে। অন্যদিকে রাজ্যের সরকারের আমলে নারী নির্যাতন বাড়ছে। প্রতিবাদীদের জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।"  

Comments :0

Login to leave a comment