CBI SIT reconstructed by Judge Abhijit Ganguly

শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন সিট গঠন কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা

স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষাকর্মী গ্রু-ডি  (Group C) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতী নিয় কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court)তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিবিআই। সিবিআই’র সিটের গতী প্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বুধবার পুরনো সিট ভেঙে নতুন সিট গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। জুন মাসে গঠত তদন্তকারী দল এই মামলায় ৫৪২ জন মধ্যে মাত্র ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছে। বিচারপতির দাবি ৫ শতাংশও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি সিট। ছয়মাস আগে গঠিত সিটের কাজের গতি নিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারপতি জানতে চান তারা এতোদিন ধরে কি কাজ করছেন? সিবিআই খুব ধীর গতীতে তদন্ত করছে বলে উল্লেখ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নতুন সিট গঠনের নির্দেশ দেন। 

সিবিআই’র সিট থেকে পুরনো দুজনকে আধিকারিককে সরিয়ে নতুন চারজনকে যুক্ত করল কলকাতা হাইকোর্ট। সিট থেকে সরানো হল ইন্সপেক্টর ইমরান আশিক ও পিকেসি রিসিনামোলকে। সেখানে এসেছেন ডেপুটি সুপার বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ ত্রিপাঠি, অংশুমান সাহা ও সিবিআই ডিআইজি অখিলেশ সিংহ। যেখানেই দায়িত্বে থাকুন বদলি না করে অবিলম্বে সিটের মাথায় অখিলেশ সিংহকে তদন্তের জন্য আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে কোনওভাবেই অখিলেশ সিংহকে কলকাতা থেকে সরানো যাবে না বলেও তাঁর নির্দেশ। 

সিবিআই’র গঠিত সিটে তদন্ত নিয়ে সিপিআই(এম) (CPIM) দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী (Shamik Lahiri)বলেন ‘সিবিআই তো নিজে থেকে তদন্ত নামেনি বরং মামলা করার পর বিচারপতি সিবিআই নির্দেশ দেন। অন্য রাজ্যে তো সিবিআই নিজে নিজেই যায়। তারপরও এতো ঢিলেঢালা মনোভাব কেন?’ শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য বলেন ‘হাত, পা নয় বরং মাথাগুলো টানুন। দুর্নীতির তদন্ত ঠিক মতো হলে এই সরকারের একজন মন্ত্রীও জেলের বাইরে থাকেন?’ 

Comments :0

Login to leave a comment