SIR Online Form

অনলাইনে এসআইআর ফর্ম ভরার সমস্যা, কাল কমিশনে চিঠি সিপিআই(এম)’র

রাজ্য জেলা

মতুয়া মহাসঙ্ঘ চিঠি পাঠিয়েছিল। আমরা সংহতি জানিয়েছি। পার্টির দুই নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং সুমিত দে গিয়েছিলেন, মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁরা বুঝেছেন যে বিজেপি এবং তৃণমূল তাঁদের ধোঁকা দিয়েছে। বিজেপি তৃণমূল ভোটের রাজনীতি করেছে, ঠাকুরবাড়িকে ভাগাভাগি করেছে। রবিবার ডেবরায় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দিতে এদিন ডেবরায় আসেন তিনি। 
সেলিম বলেন, আমরা চাই অধিকার রক্ষা করতে। নাগরিকত্ব মতুয়াদের অধিকার, ভোট তাঁদের অধিকার। সোমবার ফের পার্টি নেতৃবৃন্দ যাবেন। তাঁদের পাশে আছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। যাতে তাঁদের দাবি আদায় হয় সেই লড়াইয়ে আমরা আছি। কিন্তু বিজেপি এবং তৃণমূল কেউ যোগাযোগ করেনি। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে মতুয়াদের প্রয়োজন ওদের ফুরিয়েছে। 
একসঙ্গে আট বিএলও-কে শো-কজ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, কেবল বিএলও-কে বললে হবে না। বিএলও-দের পিছনে যারা আছে তাদেরও ধরতে হবে। 
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, কিভাবে বিএলও-কে ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূলের নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে শুনিয়েছি। মানুষকে একজোটে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। আমরাো চাপ সৃষ্টি করব। দেখতে হবে যাতে নিয়ম মেনে কাজ হয়। 
তারকেশ্বরে স্টেশন থেকে চার বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় প্রশ্ন করা হয় সেলিমকে। তিনি বলেন, গোটা রাজ্যের অবস্থা বোঝা যাচ্ছে। প্রতিনিদিনম এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। মহিলা-শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিদিন প্রশ্ন উঠছে। সে কারণে মহিলা সমিতির সম্মেলনে মহিলা নিরাপত্তার দাবি গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রাম এজন্য করছি। নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ব্যবস্থা নিলে এমন হয় না। 
সেলিম বলেন, এর আগে জয়নগর থেকে সর্বত্র দেখেছি পুলিশ অভিযোগে গুরুত্ব দেয় না। তারপর পাড়া-প্রতিবেশী গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। এমন অবস্থা যে শিশুরাও নিস্তার পায় না।  
সেলিম বলেন, মমতা ব্যানার্জি নিজে বলেছিলেন ‘গুন্ডা কন্ট্রোল’ করেন। এদের জোরেই তিনি পৌরসভা দখল করেন পঞ্চায়েত দখল করেন। আজকে তার মূল্য আমাদের সকলকে চোকাতে হবে। সর্ষের মধ্যে ভূত আছে। কসবাকাণ্ড থেকে সর্বত্র দেখছি তৃণমূলের লোকেরা কিভাবে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সে কারণে পুলিশ অসহায়তা দেখাচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলেই অপরাধ বাড়ছে।
অনলাইনে এসআইআর ফর্ম সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, আমরা দাবি করেছিলাম অনলাইন ব্যবস্থা রাখতে হবে। কারণ তৃণমূলের চাপ আছে। নির্বাচন কমিশন যা বলেছিল মাটিতে তা হচ্ছে না। মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। আমরা বলেছি দ্রুত করতে হবে। এখানে সিইও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যে অনলাইন ফর্ম চালু করা হয়েছে এখনও তাতে ত্রুটি রয়েছে। অন্য রাজ্যে যেভাবে সহজে খুলছে এ রাজ্যে দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের সিইও এবং নির্বাচন কমিশনকে সোমবারই চিঠি দেওয়া হবে। 
সেলিম বলেন, সিপিআই(এম) এসআইআর’র ফর্ম ভরা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সহায়তা করে চলেছে। অনলাইনের বিষয়েও সহজে কিভাবে ফর্ম ভরা যাবে তা জনতার মধ্যে প্রচার করা হবে।

Comments :0

Login to leave a comment