Arambagh

শিশু দিবসে আরামবাগে শিশুকে খুনের অভিযোগ

জেলা

শিশু দিবসে বালক খুনের অভিযোগ উঠল আরামবাগের মায়াপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মুথাডাঙ্গার মাদার তলা এলাকায়।বৃহস্পতিবার সন্ধার পর থেকে নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার বেলায় স্থানীয় একটি তালাবন্দী বাড়ি থেকে কম্বল জড়ানো অবস্থায় সেই শিশুর মৃত দেহ পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই শিশুর নাম সেখ রিয়ান(১০)। তার বাড়ি এই এলাকাতেই। তার বাবা সেখ রুমজান ছোটো খাটো ব্যবসা করেন। এদিকে শিশু খুনের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সেখ রমজান আলি নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি চামড়ার গোডাউনে কাজ করতেন। এলাকার বাসিন্দা ও পরিবারের দাবি ওই ব্যক্তিই বালককে খুন করে তালা দিয়ে চলে যায়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সেখ রমজান আলি ঘটনার পর থেকে পলাতক। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় আরামবাগ মেডিকেল কলেজে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও একাধিক অসামাজিক কাজে নাম জড়িয়েছে রমজান আলির।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে মা রোজিয়া বেগমের কাছে দুটো পিঠে খেয়ে খেলতে বেরোয় রিয়ান। তার পর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সারারাত পুলিশ খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। শুক্রবার বেলায় আরামবাগ থানার আই সি রাকেশ সিং তদন্তে নামেন। এর পরেই খোঁজ করার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয় সেখ রমজানের দিকে। তার বাড়ি যায় পুলিশ। দেখা যায় তালা দেওয়া। তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে শিশুটির কম্বল চাপা দেওয়া মৃতেদহ উদ্ধার করে। এর পরেই ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয় এলাকায়। বহু মানুষ জমায়েত হয়। ১০ বছরের শিশু নিখোঁজের পর খোঁজাখুঁজির সময়ে অভিযুক্ত রমজান ছিলেন বলে দাবী। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার সময়েও তিনি হাজির ছিলেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। এর পরেই সে পলাতক হয়ে যায়।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মৃতেদহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে ধরে ফেলবে। কি কারণে খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment