মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে সরব কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তুলেছে প্রশ্ন। কমিশন অভিযোগ অস্বীকার করায় এবার বিশদে চিঠি পাঠালো কংগ্রেস।
কংগ্রেস নির্দিষ্ট দু’টি দাবি তুলেছে। এক, ‘মেশিন রিডেবল’ ভোটার তালিকা। দুই, মহারাষ্ট্র ও গরিয়ানায় ভোটের দিন বুথের সংরক্ষিত ভিডিও ফুটেজের প্রকাশ। কমিশনকে সাত দিনের মধ্যে এই নথি প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। 
মাত্র ৬ মাসের মধ্যে ৪০ লক্ষের বেশি ভোটদাতা বেড়ে যাওয়া, ভোট দেওয়ার নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টার পর ভোটদানের হারে অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে কংগ্রেসের পাঠানো চিঠিতে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর সে বছরেই হয় বিধানসভা নির্বাচন। লোকসভা ভোটে কংগ্রেস, এনসিপি (শারদ পাওয়ার), শিবসেনা (উদ্ধব থ্যাকারে) জোটের হাতে পর্যুদস্ত হয় বিজেপি জোট। কিন্তু ছ’মাসের মধ্যে বিধানসভা ভোটে ফলাফল একেবারে বদলে যায়। শোচনীয় পরাজয় হয় কংগ্রেসের। 
কংগ্রেসের চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব তথ্যকেই ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কমিশনের তথ্যই দেখাচ্ছে মহারাষ্ট্রে পাঁচ বছরে যত ভোটদাতা বেড়েছে তার চেয়ে বেশি ভোটদাতা যোগ হয়েছে দুই নির্বাচনের মধ্যে।
কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, ২০২৪’র মে থেকে একই বছরের নভেম্বরে এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ কী? 
কংগ্রেস দাবি করেছে, কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় এমন ডিজিটাল ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। 
কংগ্রেসের দাবি, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় ভোটের দিন বুথের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই নথি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। 
চিঠিতে কংগ্রেস বলেছে, নথি পেলেই কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহী দল। সেই বৈঠকে আমাদের অভিযোগের বিশদ ব্যাখ্যাও হাজির করা হবে। 
ফুটেজ প্রকাশের দাবি আগেও জানিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু গোপনীয়তার যুক্তি দিয়ে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, কমিশনের কাছে দলের নেতা রাহুল গান্ধী ‘মেশিন রিডেবল’ ভোটার তালিকা এবং ভিডিও ফুটেজ দাবি করে আসছেন গত সাত মাস ধরে। সেটিই দিতে অস্বীকার করছে কমিশন। বরং এমন কথা বলা হচ্ছে যাতে মূল বিষয়টি আড়ালে চলে যায়।