Stampede

আট ঘণ্টা পরে সমাবেশস্থলে এসেছিলেন বিজয়, হয়েছে এফআইআর রিপোর্ট

জাতীয়

অভিনেতা ও টিভিকে প্রধান বিজয়ের 'রাজনৈতিক ক্ষমতার ইচ্ছাকৃত প্রদর্শন'র কারণে তামিলনাড়ুর করুরে পদপিষ্ট হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার এফআইআরে পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে। 
এফআইআরে বলা হয়েছে যে সমাবেশটি সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল এবং ১১টা নাগাদ প্রত্যন্ত বহু জনতা সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিজয় দুপুরে বক্তব্য রাখার কথা ছিল, কিন্তু তিনি সন্ধ্যা ৭টায় এসে পৌঁছান। জানানো হয়েছিল যে বিজয় পৌঁছাবেন সময়ের থেকে চার ঘন্টা পরে। অভিযোগ তাঁকে দেখার প্রত্যাশা' তৈরি করার জন্য তার আগমন বিলম্বিত করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, যে বিস বিজয়কে নিয়ে আসছিল সেটা একাধিক অনির্ধারিত স্টপেজ দিচ্ছিল। কার্যত রোডশো করেছিল যার জন্য কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি। টিভিকে নেতারা, যার মধ্যে অভিনেতা এবং প্রবীণ ব্যক্তিত্ব এন 'বাস' আনন্দ, পুদুচেরির প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন। 
পুলিশ জানিয়েছে, বাসটির ঘনঘন থামার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক ঘটনার একটির উল্লেখ করা হয়েছে এফআইআরে। বলা হয়েছে যে টিভিকে কর্মীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙেছিলেন - যা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে এবং পদপিষ্ট হওয়ার মতো দুর্যোগ প্রতিরোধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। 
অভিনেতা থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা বিজয়ের সমাবেশে পদপিষ্টের ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে তামিলনাডুর রাজনীতিতে। চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের পালা। তামিলাগা ভেত্তরি কাজাগম (টিভিকে) প্রধান বিজয় শনিবারের পদপিষ্টের ঘটনাকে রাজ্যের শাসক ডিএমকে সরকারের চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন। এমনকি তাঁর দল ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত, প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার গোটা ঘটনার জন্য বিজয়ের ইচ্ছাকৃতভাবে দেরিতে সভায় আসায় ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ধৈর্যের বাঁধও ভেঙে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে। এদিকে, পদপিষ্টের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জন। এখনও ১০০-র বেশি গুরুতরভাবে আহতদের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলেও জানা গিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment