নেপাল সীমান্তের জেলাগুলিকে সুরক্ষা আঁটোসাটো করছে দিল্লি। প্রতিবেশি দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের খবর পৌঁছাতেই বাড়ানো হয়েছে সীমান্তে নজরদারি।
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যে নেপালের সীমান্তের দৈর্ঘ ১৭৫১ কিলোমিটার। দু’দেশের নাগরিকদের দু’দেশে অবাধ যাতায়াত রয়েছে।
সোমবার থেকে নেপালে উত্তেজনা তীব্র চেহারা নিতে থাকে। সোশাল মিডিয়ার একাধিক অ্যাপে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে রাস্তায় নামেন কমবয়সীরা। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতির পারিবারিক বাসভবনে হামলা হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী নেতা পুষ্পকুমার দহল ‘প্রচন্ড’-র বাড়ি ঘিরে পাথর ছোঁড়া হয়েছে। বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর হয়েছে সংসদ ভবনেও।
সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙ জেলার পানিট্যাঙ্কিতে বাড়ানো হয়েছে আধা সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের টহল। সীমান্ত দিয়ে যেতে পারছে না ট্রাক। ফলে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পণ্যবাহী যান।
উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের নেপাল সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও একই কায়দায় সুরক্ষা সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক মঙ্গলবার এক বার্তায় নেপালের রয়েছেন যে ভারতীয়েরা তাঁদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রক বিক্ষোভের জেরে প্রাণহানিতে শোক জানিয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘নেপালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ভারতের আবেদন যাতে সব অংশ শান্তিপূর্ণ পথে প্রতিবাদ জানায়। আলোচনার পথে বিরোধ নিরসনের আবেদন জানানো হচ্ছে।’’
বিদেশ মন্ত্রক ভারতীয়দের প্রসঙ্গে বলেছে, ‘‘কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ভারতীয়দের কাছে অনুরোধ সতর্কতা বজায় রাখা দরকার। নেপালের প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী চলার আবেদন জানানো হচ্ছে।’’
দিল্লি-কাঠমান্ডু-দিল্লি রুটের একাধিক উড়ানও বাতিল হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ :0