কর্পোরেট-হিন্দুত্ববাদী জোট দেশের সরকার চালাচ্ছে। শ্রম আইন বাতিল করে শ্রমকোড পাশ করিয়েছে এই জোট। কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকারের পিছনে এই শক্তি। এরা হিন্দুরাষ্ট্রের কথা বলে। আর মুনাফার স্বার্থে শ্রমজীবীর মজুরি, নির্দিষ্ট কাজের সময়ের বিধিকে লঘু করে। এরাই হিন্দুরাষ্ট্র করে সমস্যার সমাধান করার কথা বলে। অভিজ্ঞতাই দেখাচ্ছে হিন্দুরাষ্ট্র শ্রমজীবীর সমস্যার সমাধান করবে না।
মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে ১২ ঘন্টা কাজের আইন পাশ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলেছেন সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু। গুজরাটে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রেও বিজেপি জোট রয়েছে সরকারে।
গুজরাটে শ্রমিকদের ১২ ঘন্টা কাজের আইন পাশের পাশাপাশি রাতের শিফটে মহিলাদের কাজকেও আইনানুগ করা হয়েছে। বিরোধী কংগ্রেস এবং আপ বিধানসভাতেই বলেছে যে আসলে মহিলাদের রাতের শিফটে কাজ করতে এবং শ্রমিকদের কমপক্ষে ১২ ঘন্টা শিফটে কাজ করাতে বাধ্য করা হবে।
সাহু বলেছেন, মালিকপক্ষের হয়ে, বিশেষ করে, একচেটিয়া ব্যবসার হয়ে, দেশের বিভিন্ন আইন বদলে চলেছে বিজেপি সরকার। শ্রম আইন পাশ হলেও বিধি হয়নি। ফলে যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি সরকার, সেখানে একই লক্ষ্যে আইন সংশোধন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কর্নাটকে আগের বিজেপি সরকার এই মর্মে প্রস্তাব এনেছিল। কংগ্রেস সরকারে আসীন হয়ে দশ ঘন্টা কাজের আইন করে। কিন্তু শ্রমজীবীর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে পিছাতে হয়। এখন মালিকরা বলছে এই আইন প্রয়োগ করা হবে না।
সাহু বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার মৌখিক ভাবে শ্রম কোডের বিপক্ষে। কিন্তু, রাজ্যে সমানে শ্রম আইন ভাঙা হচ্ছে। ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হচ্ছে না বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রতিবাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। তা সত্ত্বেও গত ৯ জুলাইয়ে ধর্মঘটে রাজ্যের চট থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমিকরা লড়াইয়ে নেমেছেন। ধর্মঘট সারা দেশে ডাকা হয়েছিল শ্রম কোড চালুর বিরুদ্ধেই। শ্রম কোড বাতিলের দাবি উঠেছিল।
সাহু বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধি তীব্র। বেকারির হার চড়া। জনতার আয় কম। আরেকদিকে হাতৃ গোনা কয়েকজন বিপুল ধনীর সম্পদ বাড়ছে হু-হু করে। যারা হিন্দুরাষ্ট্রের প্রবক্তা তাদেরই নীতিতে এমন অবস্থা। হিন্দুরাষ্ট্র শ্রমজীবী জনতার সঙ্কটের নিরসন করতে পারে না।
মন্তব্যসমূহ :0