মণ্ডা মিঠাই
নতুনপাতা
শিশু দিবসের তাৎপর্য ও আজকের বাস্তবতা
অরিজিৎ মিত্র
২৩ নভেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩
প্রতি বছর ১৪ই নভেম্বর আমরা শিশু দিবস উদযাপন করি। এই দিনটি আমাদের দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন। তিনি শিশুদের খুব ভালোবাসতেন এবং বিশ্বাস করতেন, “আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।” তাই এই দিনটি শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্ববোধেরও প্রতীক।
তবে সমাজের প্রতিটি শিশুর জীবনে সেই আনন্দ সমানভাবে পৌঁছায় না। আমাদের চারপাশে অসংখ্য শিশু আছে যারা দরিদ্রতা ও কষ্টের মধ্যে দিন কাটায়। কেউ হোটেলে কাজ করে, কেউ রাস্তায় ভিক্ষা করে, কেউবা ইটভাটায় বা কারখানায় পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জনের চেষ্টা করে। তাদের জীবনে খেলনা নেই, বই নেই, নেই নির্ভাবনার শৈশব।
এইসব শিশুরা ছোটবেলা থেকেই কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য হয় শুধুমাত্র দুবেলা খাবারের জন্য। অনেকেরই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ নেই, কারণ তাদের পরিবার চায় তারা উপার্জন করুক। অথচ শিক্ষাই তাদের ভাগ্য বদলাতে পারে, শিক্ষাই তাদের নতুন ভবিষ্যতের আলো দেখাতে পারে।
আমাদের উচিত এই শিশুদের পাশে দাঁড়ানো — তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়া। শিশু দিবস কেবল ফুল, ফিতা ও অনুষ্ঠানের নয়; এটি এক প্রতিজ্ঞার দিন — যেন প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি ফুটে, প্রতিটি শিশুর হাতে বই থাকে, আর কোনো শিশু যেন অভাবে তার শৈশব হারিয়ে না ফেলে।
শিশু দিবসের প্রকৃত মানে তখনই সফল হবে, যখন আমাদের সমাজের প্রতিটি শিশু সমান ভালোবাসা, সুযোগ ও সম্মান পাবে।
নবম শ্রেণী, কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ উত্তর ২৪ পরগনা, কল্যাণনগর, খড়দহ
Comments :0