এর্নাকুলাম থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত বন্দে ভারত ট্রেন পরিষেবা চালুর সরকারি অনুষ্ঠানে গাওয়া হলো আরএসএস’র নিজস্ব বৃন্দসঙ্গীত। সেই অনুষ্ঠানেই ছাত্রছাত্রীদের আরএসএস'র এই সঙ্গীত গাইতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেরালার এলডিএফ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
বিজয়ন ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, সরকারি অনুষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত। একটি সরকারি অনুষ্ঠানে আরএসএস’র সংগীত গাওয়ায় সরকারের ধরমনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিজয়ন বলেন, "এর্নাকুলাম থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত বন্দে ভারত পরিষেবার উদ্বোধনের সময় সার্দার্ন রেলওয়ের আয়োজনে ছাত্ররা আরএসএস'র সাংগঠনিক সংগীত গাইতে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সরকারি কর্মসূচিতে আরএসএস'র গান আসলে সাংবিধানিক নীতিকে লঙ্ঘন করে। এই ধরণের প্রচার অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদমূলক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়।"
বিজয়ন কেরালার মানুষকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান করেছেন। তিনি বলেছেন যে বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চরম হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি প্রকাশ পেয়েছে। এর পেছনে রয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা ধ্বংস করার জন্য সংকীর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে।
বিজয়নের ক্ষোভ প্রকাশের পর কংগ্রেসের নেতা কেসি বেণুগোপাল রেলমন্ত্রীকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে কেন স্কুলের ছাত্রদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরএসএসের গান গাইতে বলা হয়েছিল।
Comments :0