TRUMP UN

রাষ্ট্রসঙ্ঘে ট্রাম্পের ভাষণে স্বৈরাচারের স্বর, প্যালেস্তাইনের বিরোধিতা

আন্তর্জাতিক

বিশ্ব উষ্ণায়নকে ফের বলেছেন ‘গুজব’। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রয়োজন কী, প্রশ্ন তুলেছেন তা নিয়ে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভাষণে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা সব অংশকে। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ট্রাম্পের ভাষণকে স্বৈরাচারীর কন্ঠস্বর বলে চিহ্নিত করছে বিশ্বের বিভিন্ন অংশ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভাষণেই ট্রাম্পকে কাঠগড়ায় দাঁড়ও করিয়েছেন কলম্বিয়ার বামপন্থী রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেট্রো। 
পেট্রো তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘‘গাজায় গণহত্যায় জড়িত ট্রাম্প। ইজরায়েলের বাহিনীকে লাগাতার মদত দিয়ে চলেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি। ট্রাম্পকে অপরাধী বিবেচনা করে বিচার শুরু হওয়া উচিত।’’
আন্তর্জাতিক প্রশ্নে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সীমাবদ্ধতা নজরে এনেছে প্রতিবাদী বিভিন্ন শক্তিই। রাষ্ট্রসঙ্ঘে আমেরিকা-ইজরায়েল অক্ষ কোণঠাসা হওয়া সত্ত্বেও সামরিক আগ্রাসন জারি রয়েছে গাজায়। চলছে গণহত্যা। বিশ্ব উষ্ণায়ন মোকাবিলায় রাষ্ট্রসঙ্ঘে বার্ষিক সম্মেলন করলেও কর্পোরেট এবং সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব বেপরোয়াই রয়েছে। 
কিন্তু এই অংশেরই বক্তব্য রাষ্ট্রসঙ্ঘকে কার্যকরী করার বদলে একমেরু বিশ্বের পক্ষে লাগাতার সওয়াল। 
ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘যারা প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলছে তারা আসলে হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে।’’  
অভিবাসন নিয়েও আক্রমণাত্মক থেকেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘‘২০২৪ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ৩৭.২ কোটি টাকা খরচ করে ৬ লক্ষ ২৪ হাজার অভিবাসীকে আমেরিকায় অনুপ্রবেশের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাজ অনুপ্রবেশে মদত দেওয়া নয়।’’ 
ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘পরিবেশ বান্ধব শক্তির নামে কেলেঙ্কারি যত করবে সেই দেশ তত বেশি বিপদে পড়বে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘সব শিল্পোন্ত দেশের চেয়ে বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড একা চীন উৎপন্ন করে।’’
পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, ট্রাম্পের মিথ্যা বলার অভ্যাস রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভাষণেও তাঁর পিছু ছাড়েনি। বিজ্ঞানসম্মত কোনও তথ্য ছাড়াই এমন ভাষণ দিয়ে গিয়েছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি।

Comments :0

Login to leave a comment