Maheshtala Murder

মহেশতলায় জোড়া খুন!

কলকাতা


ঘরের ভিতরে পড়ে ছিল ঠাকুমা ও নাতির রক্তাক্ত ২টি দেহ। মৃতদেহে মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তে ভেসে গেছে ঘরের মেঝে। খুনের ঘটনাটি ঘটে মহেশতলার জিঞ্জিরাবাজার এলাকায়। এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ। ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানান, মৃতরা হলেন ঠাকুমা মায়া মন্ডল (৫৫) ও নাতি সোনু মন্ডল (৮)।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার বিকালে গৃহশিক্ষক ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। রক্তাক্ত ২টি দেহ ঘরে পড়ে রয়েছে। তিনি প্রতিবেশিদের এই খবর জানালে তাঁরা জিঞ্জিরাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। ঘটনাস্থলে আসেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই বাড়ির দোতলায় থাকেন গৃহকর্তা তারক মন্ডল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাঁর পুত্র শেখর মন্ডল ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বাড়ির কাছাকাছি একটি ধূপকাঠি তৈরির কারখানায় কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী পারিবারিক অশান্তির কারণে বছর দেড়েক আগে বাপের বাড়ি চলে গেছেন। বাড়ির একতলার ঘরে ছিলেন শেখর মন্ডলের মা মায়া মন্ডল ও তাঁর পুত্র সোনু মন্ডল। এদিন বিকালে সোনুকে পড়াতে গিয়ে গৃহ শিক্ষক দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভিতরে মৃতদেহ দুটি পড়ে রয়েছে। প্রতিবেশিরা জানান, শেখর মন্ডল ২টি বিয়ে করলেও স্ত্রীরা তাঁর কাছে থাকে না। ডিভোর্স হয়েছে।

এদিকে জোড়া খুনের ঘটনার খবর পেয়ে আসেন শেখর মন্ডলের বড় মামা আশিস নস্কর। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পুলিশ মৃতদেহ ২টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছে। কি কারণে এই খুন তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

 

Comments :0

Login to leave a comment