ছাত্র সমাবেশ থেকে বামপন্থীদের নিশানা করে একাধিক মিথ্যা কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আরএসএসের সুরে বামপন্থীদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘বামপন্থীরা দেশদ্রোহী, দেশের পতাকা তুলতো না ওরা।’ উল্লেখ্য ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেওয়া একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামী কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চট্টগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম সদস্য সুবোধ রায় সিপিআই(এম)’এর সদস্য ছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টের প্রধান লক্ষ্মী সায়গল যুক্ত ছিলেন বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গেই। বস্তুত আন্দামানের সেলুলার জেলে বন্দিদের একাধিক যোগ দিয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টিতে।
১৯৯৮ সালে যেই বিজেপির হার ধরে আত্মপ্রকাশ করেছিল তৃণমূল সেই বিজেপির মাথার ওপর থাকা আরএসএস, যারা মমতাকে দুর্গা বলেছিল, তারা দেশের স্বাধীনতাকে মান্যতা দেয়নি। মান্যতা দেয়নি জাতীয় পতাকাকে। আর তাই আরএসএসের সদর দপ্তরে জাতীয় পতাকা তোলা হতো না।
এদিন মমতা বলেন, ‘আজ তৃণমূলকে সব শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। ২২ লক্ষ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাইরের রাজ্যে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই রাজ্যেও অনেক পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন তাদের ওপর তো কোন অত্যাচার হয় না।’
তিনি বলেন, ‘তৃণমূল সরকার রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। ২ কোটি চাকরি দিয়েছে। বেকারত্বের হার কমিয়েছি আমরা।’ কিন্তু রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা যে বাড়ছে সে কথা শোনা গিয়েছে মমতার কথায়। তাহলে প্রশ্ন কর্মসংস্থান তৈরি হলে কেন রাজ্যের ছেলে মেয়েরা বাইরে যাচ্ছে কাজের জন্য?
এসআইআরের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘জীবন থাকতে কারো ভোটাধিকার কাড়তে দেবো না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি সার্ভে করছে নাম বাদ যাবে লোকের। কেউ কোন তথ্য দেবেন না। আধার কার্ড সাথে রাখবেন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে সরকার।’ এই রাজ্যের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশীদের নাম রয়েছে এই অভিযোগ তুলে বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন সরব হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। লোকসভার স্পিকারের চেয়ারের দিকে কাগজ ছুঁড়েছিলেন তিনি।
Mamata Banarjee
আরএসএসের সুরে বামপন্থীদের নিশানা করলেন মমতা

×
Comments :0