১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালিন অধিবেশন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন ১ – ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীরকালিন অধিবেশন। এক্সহ্যান্ডেলে সরকারের পক্ষ থেকে রিজিজু লিখেছেন যে, আসন্ন শীকালিন অধিবেশন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে চায় সরকার।
উল্লেখ্য এসআইআর এবং ‘ভোট চুরি’ নিয়ে যে শীতকালিন অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। সূত্রের খবর ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল, এছাড়া ১২৯তম সাংবিধানিক সংশোধনী বিল, যেটির বিষয়বস্তু হল, লোকসভা ও সব রাজ্যের বিধানসভার ভোট একসঙ্গে সংগঠিত করা। রয়েছে জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল।
গত শীতকালিন অধিবেশনে এক দেশ এক ভোট বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর তা চুড়ান্ত করার জন্য পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। বিল সংসদে পেশ করলেও এখনও তা পাশ করাতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। আসন্ন অধিবেশনে এই বিল পাশ করানোর চেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে বার বার এই বিলের বিরোধীতা করা হয়েছে। তাদের দাবি এই আইন পাশ হলে ভারতের যেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো তা আঘাত পাবে। সাংবিধানিক কাঠামোর ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হবে।
তবে আসন্ন অধিবেশনে সরকারকে চাপে রাখতে কোমড় বাঁধছে বিরোধীরা। এসআইআর এবং রাহুল গান্ধীর আনা ভোট চুরির অভিযোগ নিয়ে যে তারা সরব হবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিহারে প্রথম পর্যায়ের এসআইআরের পর পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২টি রাজ্যে এসআইআর ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে একাধিক মামলাও হয়েছে আদালতে।
অন্যদিকে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার ভোটের কারচুপি নিয়ে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে লাগাতার নিশানা করেছে চলেছেন রাহুল গান্ধী। সাংবাদিক সম্মেলন করে একাধিক প্রমানও তিনি দিয়েছেন।
Winter Session 2025
ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই শুরু সংসদের শীতকালিন অধিবেশন
×
Comments :0