প্রতীম দে ও অরিজিৎ মণ্ডল
সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বামপন্থীরা বলে কেন বোঝাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমাদের কৃষি, বস্ত্রশিল্প, ডেয়ারি শিল্প সব আক্রমণের মুখে। এর মধ্যে অন্যায়ভাবে ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। সাম্রাজ্যবাদ আমাদের মতো দেশগুলির মেহনতি মানুষকে বিপন্ন করছে।
সোমবার ধর্মতলায় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবসে মিছিলের মুখে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সংষিপ্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বামফ্রন্টের সভাপতি বিমান বসু। বামফ্রন্টের বাইরে বামপন্থী দলগুলিও অংশ নিয়েছে এই মিছিলে। বক্তব্য রেখেছেন বামপন্থী নেতৃবৃন্দ। তিনদিক থেকে এদিন মিছিল এসেছে ধর্মতলায়। সেখান থেকে শুরু হয়েছে মূল মিছিল।
সেলিম আরএসএস-বিজেপি সম্পর্কে বলেন, যারা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি, স্বাধীনতার লড়াই করেনি তারা সাম্রাজ্যবাদের কাছে আজও আত্মসমর্পণ করছে। তারা মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি করছে। মেহনতিকে ভাগাভাগি করে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তাই ভাগাভাগির বিরুদ্ধেও লড়তে হবে।
সেলিম বলেন, কলকাতা শহর পশ্চিম বং সাম্রাজ্য বাদ বিরোধী আন্দোলনের পীঠস্থান। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে এই দিন যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হয় সারা বিশ্বে। শান্তি আমাদের ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য। যারা যুদ্ধের দামামা বাজায় তারা করে নিজেদের লাভের জন্য।
সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী চিনে গিয়েছেন। চীনের রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠক করছেন। গোটা বিশ্বে যারা যুদ্ধ উন্মাদ, যুদ্ধের ব্যবসা করে, তারা কয়েক বছর ধরে আমাদের মাথায় যুদ্ধের উন্মাদনা ঢুকিয়েছিল। আজ চীন-ভারত বলছে তারা একে অপরের সঙ্গী। আমার এই কথা বললে আমাদের চীনের দালাল বলা হয়।
সেলিম বলেন, আমরা দ্বিতীয় বিশ্বের যুদ্ধের সময় দুর্ভিক্ষ দেখেছি, সাম্রাজ্যবাদ তখন ভারত শাসন করছে। গোটা বিশ্বে যারা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী তারা আমাদের সঙ্গী। কলকাতা, বাংলা বার বার উত্তাল হয়েছে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ে।
সেলিম বলেন, প্যালেস্তাইনে যখন গণহত্যা হচ্ছে তখন জাত ধর্মে ভাগ করা হচ্ছে। প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই মিছিল। ইজরায়েল যা করছে সেটা হচ্ছে মার্কিন মদতে। এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলি শান্তি চায়। সাম্রাজ্যবাদের চক্করে পড়লে সব শেষ হয়ে যাবে।
সেলিম বলেন, আমাদের রপ্তানি, কৃষি, সব আজ মার্কিন আক্রমণের নিশানা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াই ক্ষুধার বিরুদ্ধে, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে। এই দেশে জাত পাত ধর্মের নামে ভাগ করা হচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে দেশকে শক্তিশালী করতে হয়।
Comments :0