মীর আফরোজ জামান: ঢাকা
খাগড়াছড়ির গুইমারায় মারমা স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নিহত ৩ জনের পরিচয় বুধবার প্রকাশ করেছে পুলিশ।
গত রবিবার গুলিতে নিহত ৩ জনই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা। সবার বয়সই ২০ বছর থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
নিহতরা হলেন, রামসু বাজার এলাকার অলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলী পাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) এবং চেংগুলি পাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পরে পরিবারের কাছে তাঁদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, খাগড়াছড়িতে জাতি হিংসা বন্ধ এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
পরিষদের এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, আদিবাসী কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের জন্য দায়ী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার না করে বরং খাগড়াছড়ির নিরীহ ও নিরস্ত্র জুম্ম জনগোষ্ঠীর উপর সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলায় ইতোমধ্যে ৩ জন নিহত হয়েছে। অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। ৬ জন নিখোঁজ। ১৫টি বাড়ীঘর ও ৬০টি দোকানপাট এবং ১৩ টি মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ হয়েছে । ৭টি দোকানে লুটপাট চালানো হয়েছে।
পরিষদের ক্ষোভ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উষ্কানিমূলক বক্তব্য খাগড়াছড়িসহ গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করেছে।
পঁচিশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও সরকারি খরচে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ।
Comments :0