বইকথা
নতুনপাতা
এ যুগের কিশোর বিজ্ঞানী
প্রদোষকুমার বাগচী
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের শারদ সংখ্যা ‘এ যুগের কিশোর বিজ্ঞানী’ প্রকাশিত হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার তিলোত্তমার পরিকল্পিত খুন ও ধর্ষণ ও তার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের দাবিতে সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সংখ্যাটিও। কিশোর বিজ্ঞানীদের মনের খোরাক জোগানোর মত একরাশ মননসমৃদ্ধ রচনা রয়েছে এই সংখ্যাটিতে। রচনাগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে পরিবেশন করা হয়েছে। যেমন — ‘আলো হাতে ছিল যাঁরা আঁধারের যাত্রী’, ‘বিজ্ঞানের নবদিগন্ত’, ‘জীবনের গান,যা পরশে প্রাণ’, ‘একরাশ কল্প-বিজ্ঞানের গল্প’। এছাড়াও রয়েছে ‘আবিষ্কারের গল্প’, ‘বিজ্ঞান নাটিকা’, ‘এক বিজ্ঞানী একটি সম্মেলন ও এক অভিযানে’র কথা, অন্ধকার সময়ে যাঁরা আলো হতে নিয়ে আমাদের পথ দেখিয়েছেন তাঁদের কয়েকজনের কথা এখানে আলোচিত হয়েছে। যেমন— ভারতের প্রথম মহিলা পক্ষীবিদ, গণিতসাধক রামচন্দ্রলাল, চাঁদের পিঠে থাকা বিজ্ঞানী, ইবনে-আল-হাইথাম, রামব্রহ্ম সান্যাল। এঁদের নিয়ে যথাক্রমে লিখেছেন মানসপ্রতিম দাস, রবীন্দ্রনাথ পাত্র, শঙ্করকুমার নাথ, রবীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি ও দীপক ভট্টাচার্য। শুকনো বরফ, থার্মোস্কোপ থেকে থার্মোমিটার, পেরিস্কোপ নিয়ে লেখা রয়েছে যথাক্রমে সরোজ রায়, শ্যামল চক্রবর্তী ও সৌম্যকান্তি জানার, জল-জঙ্গল-ফুল-পাতা-নদী নিয়ে লিখেছেন তপন মিশ্র, নয়ন মুখার্জী ও জয়শ্রী দত্ত। বিজ্ঞান নির্ভর নাটক লিখেছেন কিংশুক মুখোপাধ্যায়। ‘চিত্রভাষায় গল্প’ বিভাগটি ছাড়াও ‘শরীরঘরের ভিতরমহল’, ‘প্রকৃতির আপন কথায়, আপনঘরে’, ‘প্রাসঙ্গিকী’ বিভাগের লেখাগুলিও সকলের ভালো লাগার মতো। সবার আগে কিশোর পড়ুয়াদের স্বাগত জানানো হয়েছে বোস-সংখ্যায়ন শতবার্ষিকী আলোচনা দিয়ে। এটি লিখেছেন শ্যামল মুখোপাধ্যায়। কিশোরদের মনের মতো বিজ্ঞান বিষয়ক লেখায় সাজানো হয়েছে এই সংখ্যাটি। ‘চিত্রভাষায় গল্প’ বিভাগটি তো সকলের নজর কাড়বে। এছাড়াও রয়েছে ‘ছড়ায় মোড়া ছন্দে গাঁথা কয়েক পাতা’ শীর্ষক একগুচ্ছ কবিতা। লিখেছেন মৃণালকান্তি দাস, অরুণাভ মিশ্র, আশিস মিশ্র ও আরও অনেকে। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মনীষ দেব।
এ যুগের কিশোর বিজ্ঞানী। শারদ সংখ্যা ২০২৪। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। সম্পাদক : অরুণাভ মিশ্র। ১৬২বি আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোড। কলকাতা— ১৪। ১৬০ টাকা।
Comments :0