Barasat Lok Sabha Election 2024

ভরসা রাখুন বদল হবেই অশোকনগরে মীনাক্ষী মুখার্জি

রাজ্য লোকসভা ২০২৪

ছবি- সুস্মিত দাস।

সরকারী কর্মচারীরা ডি এ-র জন্য আন্দোলন করছেন। টাকা নেই। অথচ  ৩১৭ কোটি টাকা ক্লাবগুলিকে বিলিয়ে দিল। ক্লাবের মাঠগুলি হারিয়ে গেল। বন্ধ কারখানার জমিতে, পুকুর বুজিয়ে গড়ে উঠলো আবাসান। এর মধ্য দিয়ে প্রচুর টাকার কামাই তৈরি হয়েছে। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। সময় এসেছে শপথ করুন বুথে রুখে দাঁড়ানোর। ভোটারদের অধিকারকে সুরক্ষিত করার পাশাপাশি শপথ হোক সকলে ভোট দিতে পারবে। দেখবেন খেলা ঘুরে গেছে। ভরসা রাখুন বদল হবেই। বুধবার অশোকনগরের মাগুরখালির মাঠে বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত কংগ্রেস সমর্থিত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে এক জনসভায় কথাগুলি বলেন রাজ্যের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। এদিন তিনি বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্টের ফরোয়ার্ড প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে অশোকনগরে জনসভার আগে হাবড়ায় রোড শো করেন। সহস্রাধিক মানুষের স্বতঃফূর্ত উপস্থিতিতে রোড শো হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। হাবড়া বানীপুর মাঠ থেকে এদিনের রোড শো শুরু হয়ে বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে জয়গাছি সুপার মার্কেটে শেষ হয়। এছাড়াও এদিন মীনাক্ষী মুখার্জি আরো দুটি রোড শো করেন। একটি বারাসত অন্যটি মধ্যমগ্রামে। উভয় জায়গায় রেকর্ড সংখ্যাক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বারাসতের রোড শো শুরু হয় টাকি রোডের শতদল মাঠ থেকে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে শেষ হয়। মধ্যমগ্রামের রোড শো আরতী সিনেমা হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে শ্রীকৃষ্ণ সিনেমা হলের সামনে শেষ হয়। তিনটি রোড শো-তে মীনাক্ষী মুখার্জির পাশাপাশি ছিলেন প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সিপিআই(এম) নেতা বাবুল কর, আত্রেয়ী গুহ, আহমেদ আলি খান, ঋজিনন্দন বিশ্বাস, যুব নেতা সপ্তর্ষি দেব, দেবব্রত বসু, পুলক কর, রঞ্জিত সাহা, প্রনব মজুমদার, নিতাই পাল, অমল দাস, অলোক সাহা প্রমুখ। এদিন মধ্যমগ্রামের রোড শো শুরু হওয়ার আগে এক সংক্ষিপ্ত সভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বক্তব্য রাখেন।  
এদিন অশোকনগরে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ২০১৯ শে বিবির নাম আর ২০২৪ শে বিবির নাম আলাদা। দুটো প্যানকার্ড। মানে বুঝতে পারছেন। নির্বাচন কমিশন চুপ করে বসে আছে। রাজ্য সরকার ঠিকমতো কাজ করতে দিচ্ছে না। এলাকায় ধর্ষণ হলে পুলিশ মিটিয়ে নিতে বলছে। আর যে সমস্ত পুলিশ অফিসার শিরদাড়া সোজা রেখে কাজ করছেন তাদের দুরে বদলি করে দিচ্ছে। চেনাজানা পুলিশ থাকলে জিজ্ঞাসা করুন, বলবে মাথা উঁচু করে কাজ করতে পারছি না। সরকারী অফিসারদের ও একই অবস্থা। লাল ঝান্ডার সময় পুলিশ রঙ না দেখে কাজ করেছে। মানুষ বলছে সেই সময়টাই ভালো ছিল। সন্দেশখালির মা বোনেরা মনিপুরের মা বোনেরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। একোন ভারতের ছবি। বিজেপি’র ১০ বছরের শাসনে কৃষক আত্নহত্যা করছে। ছাত্র আত্নহত্যা করছে। জেলের মধ্যে ১৮৬ জন বিচারাধীন মহিলা অন্তসর্তা হচ্ছেন। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন চান না। অবশ্যই চান। সারা দেশব্যাপি সেই হাওয়া শুরু হয়েছে।

 

মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন কি কেন্দ্র কি রাজ্য কেউ কোন কারখানা করলো না। উত্তর ২৪ পরগনার ডানলপ , জেশপের মতো ভারি শিল্প বন্ধ হয়ে গেল কেন? সংসদে এই জেলার কোন প্রতিনিধি প্রশ্ন তুললেন? সংসদে বামপন্থীরাই ১০০ দিনের কাজের আইন পাশ করেছিল। ১০০ দিনের কাজে রাজ্যে জব কার্ড হলো কাজ হলো না। কাজ যদিওবা হলো টাকা মেরে দিল। তৃণমূল টাকা মারলো আর বিজেপি ১০০ দিনের কাজের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিল। ফলে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হলো। তৃণমূল টাকা পকেটে ঢোকালো আর দিল্লির সরকার প্রকল্প তুলে দিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধ লড়াই করছে লালঝান্ডা। তিনি বলেন গরমের দিন যে গামছাটা নিয়ে সমাবেশে এসেছেন ভোটের দিন এই গামছাটা নিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। কেউ যদি ভোট লুঠ করতে আসে তাহলে গামছাটা তার গলায় দিয়ে টেনে বুথের বাইরে এনে ফেলবেন। দেখবেন বাকি যারা জড়ো হয়েছিল তারা পালিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন লড়াইবের জন্য। দেশ বাঁচানোর এই লড়াইতে আপনারাও সামিল হোন।

Comments :0

Login to leave a comment