উত্তর ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর যে নিম্নচাপ ছিল, সেটি ক্রমশক্তি হারাচ্ছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা দুর্বল হয়ে যাবে। কিন্ত পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর লাগোয়া মায়ানমার উপকূলে নতুন ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা বৃহস্পতিবার ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুক্রবার এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। এটি পশ্চিম দিকে এগিয়ে শনিবার দক্ষিণ-ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে গভীর নিম্নচাপ রূপে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া দপ্তরের। সেই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হলে শারদীয়া উৎসবের শেষবেলাতেও বৃষ্টির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি সহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকবে দক্ষিণ ২৪পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায়। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে। শনিবার মেঘলা আকাশ কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলাতে। ৩০ সেপ্টেম্বর ঘূর্ণাবর্ত শক্তিশালী হলে ১ অক্টোবর রাত থেকে বৃষ্টির পরিমান বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
কলকাতায় আগামী দু'দিন রোদের দেখা মিললেও মেঘলা আকাশও থাকবে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। শনিবার মেঘলা আকাশ সাথে কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে শহরে।
উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর সহ কয়েকটি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। শুক্রবার ও শনিবার কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। উৎসবের মরসুমে দুর্যোগের সম্ভাবনা প্রায় নেই উত্তরবঙ্গে ।
Comments :0