কেরালা জুড়ে বিবিসি’র তথ্যচিত্র ‘‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’’ দেখাবে ডিওয়াইএফআই। মঙ্গলবার এই কথা ঘোষণা করেছে ডিওয়াইএফআই। গুজরাট গণহত্যায় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরাসরি যোগ ছিল। গত শুক্রবার ইউটিউব, টুইটার থেকে তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।
Democratic Youth Federation of India (ডিওয়াইএফআই) এর ফেসবুক পেজে ঘোষণাটি তথ্যচিত্রের লিঙ্ক শেয়ার করা একাধিক ইউটিউব ভিডিও এবং টুইটার পোস্ট ব্লক করার কেন্দ্রের যে নির্দেশ, তার পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়। কেন্দ্রের সরকারের পাশাপাশি বিজেপি নেতারা উঠেপড়ে তথ্যচিত্র আটকাতে নেমেছেন। তবে কেবল ডিওয়াইএফআই নয়, একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যচিত্র দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএফআই-ও।
২০০২’র গণহত্যায় গুজরাটে সংখ্যালঘুদের ওপর তাণ্ডব চলেছে বিনা বাধায়। পুলিশ বা প্রশাসন নিশ্চুপ হয়ে বসে থেকেছে দিনের পর দিন। বামপন্থীরা বরাবর বলে এসেছেন যে প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর মদত না থাকলে এভাবে দিনের পর দিন গণহত্যা চলতে পারে না। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উন্মত্ত সশস্ত্র বাহিনী খুন, ধর্ষণ চালিয়েছে সংখ্যালঘু বহু পরিবারের ওপর। জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাদ যায়নি শিশুরাও। তথ্যচিত্রে মোদীর ভূমিকাকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তার মধ্যেই হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র তথ্যচিত্র দেখিয়েছেন। আরএসএস অনুগামী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ জানিয়েছে রবিবার প্রকাশ্য প্রদর্শনে বাধা দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্র। তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখানো হয়েছে।
জওহরলাল নোহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও তথ্যচিত্র দেখবেন বলে জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ প্রদর্শন বন্ধ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এমন কোনও কর্মসূচি করা যাবে না, এই মর্মে জারি করেছে বিজ্ঞপ্তি। এর আগে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক তথ্যচিত্রের প্রদর্শন আটকানোর পক্ষে ‘ নিছকই প্রচারমূলক বিষয়বস্তু’ আখ্যা দেয়। বিদেশ মন্ত্রক বলেছে তথ্যচিত্র ‘বস্তুনিষ্ঠ’ নয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্র শুক্রবার তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০২১ এর অধীনে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে সোশাল মিডিয়ায় তথ্যচিত্রের লিঙ্ক আটকানোর জন্য নির্দেশিকা জারি করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
                                        
                                    
                                
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0