Dhaka

হাসিনাকে ফেরাতে ফের দিল্লিকে চিঠি দিল বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক

মীর আফরোজ জামান: ঢাকা 
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। হিংসায় উস্কানি দেওয়া, হত্যার নির্দেশ এবং দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার অভিযোগে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইবুনাল। শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে শুক্রবার দিল্লিকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা। রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। উপদেষ্টা জানান, ‘‘শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দিল্লির বাংলাদেশ মিশন থেকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা ভারত সরকারকে দ্রুত সাজাপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছি।’’ তিনি দাবি করেন দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে এটি ভারতের জন্য অবশ্য পালনীয় দায়িত্বও বটে। এর আগেও কয়েক দফায় শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছে। 
গত ১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজজামান খান কামালকেও। হিংসায় উস্কানি দেওয়া, হত্যার নির্দেশ এবং দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা এই তিন অভিযোগে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইবুনাল। তিন সদস্যের প্যানেলের প্রধান ছিলেন বিচারপতি গোলাম মোর্তাজা মজুমদার। ৪৫৩ পাতার রায়ে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের নির্যাতন করা হয়েছে। তার দায় সে সময়েই প্রধানমন্ত্রীর। কামাল এবং মামুনকে দায়ী করা হয়েছে তাঁদের প্রশাসন এবং বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ না করার জন্য। রায় ঘোষণার পর প্রতিবাদে নামে আওয়ামি লিগও। জুলাই অভ্যুত্থান বিরোধী ‘মানবতা বিরোধী অপরাধ’-র দায়ে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে ট্রাইবুনাল। তবে পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লা আল মামুনকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।
হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দেয়। বলা হয় যে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনতার স্বার্থের পক্ষে দায়বদ্ধ। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি, গণতন্ত্রের মতো বিষয়। তার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বার্তালাপ চালাবে ভারত।

Comments :0

Login to leave a comment