Indonesia Floods

ইন্দোনেশিয়ায় ধসে হত বেড়ে ৯০০ পার

আন্তর্জাতিক

বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপেই নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে। উদ্ধার কাজ চলছে দেশের একাধিক অংশে। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশের বিভিন্ন গ্রাম-শহর ও উপকূলীয় এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত ৯১৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ২৭৪ জন। শনিবার সংবাদ সংস্থাকে এই খবর জানানো হয়েছে সরকরি ভাবে।
আচেহ প্রদেশের তামিয়াং জেলার মানুষের বক্তব্য, পানীয় জল খাবার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। বন্যার কারণে স্কুল সহ অন্যান্য যায়গায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ পানীয় জল শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্যার জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারি ত্রাণ কেন্দ্র থেকে জল ও খাবার সংগ্রহ করেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোর কয়েকটি এলাকায় এখনও প্রবেশপথ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
এই বন্যায় সুমাত্রা প্রদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি একাধিক রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই দুর্যোগে ৯১৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  টানা এক সপ্তাহ বৃষ্টি হওয়াতে নদী ভাঙন শুরু হয়। ফলে  পাহাড়ি গ্রামগুলি ভেসে যায় বন্যায়। বহু বাড়ি-ঘর জলের তলায় চলে গিয়েছে বলে  জানানো হয়েছে সরকারি তরফে। ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক প্রদেশে ট্রাক্টর ও ভারী ভারী যন্ত্রের মাধ্যমে কাদা-মাটি সরানোর কাজ চলছে। বিপর্যয় মেকাবিলা বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘প্রচুর মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতে এখনও পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। উদ্ধার কাজ চলছে এখনও। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’
ঘূর্নিঝড় সেনিয়ার এবং তার আগে-পরে বেশ কয়েকটি মৌসুমি ঝড় ও ভারী বর্ষণের জেরে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে বন্যা শুরু হয় ইন্দোনেশিয়ায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশ। ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশবাদী সংস্থাগুলোর অভিযোগ, বন্যা-ভূমিধসে ব্যাপকমাত্রার এই প্রাণহানির প্রধান কারণ বনজঙ্গল উজাড় হওয়া এবং অবৈধ খনি খনন।

Comments :0

Login to leave a comment