দেরিতে হলেও ঘুম ভাঙল বসিরহাট জেলা পুলিশের। বসিরহাট শহরকে যানজট মুক্ত করতে মঙ্গলবার থেকে চালু হলো 'ওয়ান ওয়ে' ট্রাফিক ব্যবস্থা।
উদ্যোগ সাধুবাদ জানিয়েছেন দৈনন্দিন যানজটে নাজেহাল পথচলতি মানুষজন। কিন্তু সমস্যায় সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে বসিরহাট স্টেট ব্যাংকে মাসিক পেনশন তুলতে আসা প্রবীণ প্রবীণারা। বিশেষ করে স্টেট ব্যাংকের পূর্বপ্রান্তে বসিরহাট পৌরসভার ১-৬নং ওয়ার্ড, ২৩নং ওয়ার্ড এবং ৭নং ওয়ার্ডে বসবাসকারী মানুষ এবং ইছামতি নদীর ওপার সংগ্রামপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন পেশায় যুক্ত মানুষ এবং সরকারি পেনশন প্রাপকদের, বিশেষত যাঁদের ইছামতি নদী পেরিয়ে আসতে বসিরহাট স্টেট ব্যাংকে। ওয়ান ওয়ে হওয়ার ফলে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন অসুবিধায়। মোটরবাইক ব্যবহার করে যারা কেনাকাটা করতে আসেন তাঁরা পড়েছেন মহা ফাঁপরে। ফলে সামান্য হলেও বেচাকেনায় ধাক্কা লেগেছে বলছেন কেউ কেউ।
যদিও বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ হোসেন মেহেদী রহমান জানান, সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই থাকবে। আমাদের লক্ষ্য মানুষ পথ চলতে যাতে অযথা হয়রানির শিকার না হন। তেমন কোনও অসুবিধা সৃষ্টি হয় অবশ্যই তার সমাধান আমরা করব। আপাতত কিছুদিন চলুক নতুন ট্রাফিক ব্যবস্থা 'ওয়ান ওয়ে'।
তবে অন্য সমস্যাও আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষিকা জানালেন, সন্ধ্যার পর এই রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় করে। মহকুমা শাসকের বাংলো ঘেঁষে সর্পিল আকারে চলে যাওয়া ইটিন্ডা রোড যার বর্তমান নাম শহীদ দীনেশ মজুমদার রোড, অর্থাৎ হসপিটাল রোড। এই রাস্তার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার ব্যবহৃত অসংখ্য গাড়ির পাকাপাকি পার্কিং স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর গাড়িগুলির আড়ালে মদ গাঁজা ইত্যাদি খাওয়া চলে। সর্বোপরি, প্রস্রাবে ভরিয়ে ফেলছে ব্রিজ সংলগ্ন ধ্বংস হয়ে যাওয়া ফুলের বাগান।
Basirhat One Way
বসিরহাটে ‘ওয়ান ওয়ে’ চালু, সমস্যা একাংশের

×
Comments :0