শিক্ষা ও রেগার সঙ্গে মিড-ডে মিল (Mid-Day meal) যা মোদী জমানায় ‘প্রধানমন্ত্রী পোষন শক্তি নির্মান’ নামে পরিচিত তাতেও বাড়ল না বাজেট বরাদ্দ। উল্টে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের (Financial year)তুলনায় কমল বরাদ্দ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মাত্র ১১,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গত বছর প্রাথমিক বাজেটে ১০,২৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও পরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ করা হয় ১২,৮০০ কোটি টাকা। সেই সংশোধিত বাজেট থেকে কমিয়ে দেওয়া হল ২০২৩-২৪ মিড-ডে মিলের বরাদ্দের টাকা। ফলে শিশুদের সুষম আহার জুটবে না বলেই আশঙ্কা সরকারি স্কুল গুলির।
{ad]
বাজেটে (Budget) যে পরিমান টাকা বরাদ্দ করা হল তাতে শিশু প্রতি পাঁচ টাকারও কম অর্থ পাবে স্কুলগুলো। তাহলে প্রধানমন্ত্রী যে পোষণে (PM Poshan) বা পুষ্টির কথা বলে সেই পুষ্টি পাবে কোথায়। ভারতে প্রথম মিড-ডে মিল বা সরকারি স্কুল গুলোতে রান্না করা সুষম আহার দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয় ১৯৯৫। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের পুষ্টিকর গরম খাবার খেতে দেওয়া। যাতে শিশুদের স্বাস্থ্যের বিকাশ হয়, সঙ্গে মানষিক বিকাশ হয়। বিজেপি (BJP) সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমেই বরাদ্দ কমাচ্ছে মিড-ডে মিলে। চলতি অর্থবর্ষে যে পরিমান টাকা বরাদ্দ করল তাতে একটি শিশুর ভাত-ডাল তো দুর গোটা ডিমের দামও উঠবে না। 
                        
                        
মিড-ডে মিলে যেমন বরাদ্দ কমেছে। সেই সঙ্গে আইসিডিএস’এ (ICDS) খানিকটা বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও কর্মীদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধির কোনো কথা বলেননি অর্থমন্ত্রী। তাদের পেনশনের (Pension) জন্যও কোনও অর্থ বরাদ্দ করেনি। এই আইসিডিএস কর্মীদেরই কোভিড যোদ্ধা বলে থালা বাসন বাজানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) । অথচ সেই সব প্রথম সারির যোদ্ধারাই তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। 
তবে এই সবকিছুর সঙ্গে চমকপ্রদ এবার বাজেট থেকে সম্পূর্ণ বাদ পড়ল গ্রামীন এলাকায় তপসিলি,আদিবাসী ছাত্রীদের স্কলারশিপে। সেখানে একটি টাকাও বরাদ্দ করেনি অর্থমন্ত্রক। সুতরাং চলতি অর্থবর্ষে তা সম্পূর্ণ উঠে গেল বলেই ধরা যায়।
                                        
                                    
                                
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0