বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ সরকার দেয়নি। নেপালের ‘সংবিধান দিবস‘-কে কেন্দ্র করে এক বার্তায় এই দাবি করেছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বিক্ষোভের জেরেই পদত্যাগ করতে হয়েছিল তাঁকে।
শুক্রবার ওলি বলেছেন, ‘‘৮ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ শুরুর দিন সরকার কাউকে গুলি করার নির্দেশ দেয়নি পুলিশকে। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়েছিল। সেই রাইফেল পুলিশের হাতে ছিল না।’’
উল্লেখ্য, ৮ সেপ্টেম্বরই গুলিতে নিহত হন ১৯ বিক্ষোভকারী। আপাত বিচারে সোশাল মিডিয়া অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে বিক্ষোভ হলেও দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীরা সরব ছিলেন। বিক্ষোভের জেরে অন্তত ৭২ কমবয়সী বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন।
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি-এমালে’র চেয়ারম্যান ওলি বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে একাংশ বেদখল করে নিয়েছিল। তারাই আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তুলেছিল।’ উল্লেখ্য, সংবাদপত্রের দপ্তর, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবন, সচিবালয় এবং সংসদ ভবনে আগুন লাগায় একদল বিক্ষোভকারী।
ঘটনাক্রমের জেরে ওলি পদ ছাড়েন এবং প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। বিক্ষোভকারীদের বড় অংশ কারকিকেই প্রধানমন্ত্রী করার পক্ষে মত দেন।
২০১৫’র ২০ সেপ্টেম্বর নেপালে রাজতন্ত্রকে হটিয়ে সাধারণতন্ত্র গড়ার পক্ষে সংবিধান গৃহীত হয়। চলতি বিক্ষোভে রাজতন্ত্রের সমর্থকদের হাত রয়েছে বলে মত বিভিন্ন অংশেরই।
কারকি সংবিধান দিবসের আগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এদিন বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের মর্ম হলো জনতার কথা শোনা।’ তিনি বলেন, ‘বহু মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে নেপালে সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। সব নেপালীর সাধারণ দায়িত্ব এই সংবিধানকে প্রয়োগ করা।’
Nepal protest
বিক্ষোভে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়নি সরকার, বলছেন ওলি

×
Comments :0